কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় গোটা কলকাতা। গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাতে আর জি করে নিজ কর্মস্থলে এ ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সব শ্রেনিপেশার মানুষ। সরব হয়েছেন টলিউডের তারকারাও।
খবর প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:১৯ এএম
কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় গোটা কলকাতা। গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাতে আর জি করে নিজ কর্মস্থলে এ ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সব শ্রেনিপেশার মানুষ। সরব হয়েছেন টলিউডের তারকারাও।
‘মেয়েরা, রাত দখল করো’- এমনই ছিল ডাক। রাতের কলকাতা, কলকাতা শহরতলি ছাড়িয়ে সারা রাজ্যের পথে পথে মানুষের পদ বিক্ষোভ। নারীরা অগ্রভাগে, তবে পুরুষেরাও নেমেছেন পথে, প্রতিবাদে।
মিমি চক্রবর্তী একটি ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাতের শহর। এর ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘বিচারের দেরি হওয়া মানেই বিচার এড়িয়ে যাওয়া। আজকে আমাদের আনন্দের শহরের প্রতিটি কোণা কাঁদছে। কারণ আমরা মানুষ হিসেবে ব্যর্থ।
আগের একটি পোস্ট পুনরায় উল্লেখ করে মিমি লেখেন, ‘এমন শাস্তি হওয়া উচিত যে, পরেরবার এমন জঘন্য অপরাধের কথা ভাবলেও মেরুদন্ড কেঁপে উঠবে। কোনো করুণা নয়।’
ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ছবিতে দেখা যায় অগণিত মানুষ। তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি, অরিন্দম শীল, পার্নো মিত্র। অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ড। তার কোনোটিতে মুষ্টিবদ্ধ হাত, কোনোটিতে লেখা ন্যায় বিচার চাই।
অভিনেতা কৌশিক সেনের পুত্র ঋদ্ধি সেনও রাতের রাজপথে নেমেছিলেন। তারই একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এই শুভ রাতে ভালো হয়ে থেকো না। রাগ দেখাও, ক্ষোভ দেখাও। এই মৃতপ্রায় আলোতে গর্জে ওঠো অন্ধকারের বিরুদ্ধে।’
কলকাতার ছোট পর্দার একাধিক তারকারাও গত রাতের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিক খ্যাত তনুশ্রী গোস্বামী, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-এর কাকিয়া তথা সায়ন্তনী মল্লিক, দিব্যজ্যোতি দত্ত, তৃণা সাহা, ঋতব্রত মুখার্জিও পথে নেমেছিলেন। আরো দেখা গেছে বহু তারকাকে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলার সেমিনার রুম থেকে রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ তিনি ওই হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন৷ তার আগের দিন অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার রাতে অন কল ডিউটিতে হাসপাতালে ছিলেন তিনি৷ পরেরদিন সেমিনার হলে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের দেহ৷
এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে। শুরু হয়েছে তদন্তও। হাসপাতালের পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।