উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিন্নতা আনতে স্টেডিয়ামে নয়, এবার প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে সিন নদীতে। ১০০টি নৌকা এবং বার্জেতে প্যারেড করবেন অ্যাথলেটরা। অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে পুরো শহরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে ফ্রান্স সরকার।
তবে অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্যারিস অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।
প্যারিস শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে কয়েক জায়গার দ্রুতগামী ট্রেনের লাইনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
হামলাকারীরা ফ্রান্সের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তরের রেললাইনগুলোর স্থাপনাগুলোয় আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে এসএনসিএফ বলেছে, ‘গত রাতে আটলান্টিক, উত্তর এবং পূর্বের দ্রুতগতির লাইনের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে।
’
ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্যারিস অঞ্চলের সভাপতি ভেলেরিয়ে পিক্রেসি। তিনি বলেছেন, ‘এটি কাকতালীয় কোনো হামলা ছিল না। ফ্রান্সকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চলছে।’
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামেলি ওউদিয়া-কাস্তেরা বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত ভয়ংকর।
অলিম্পিক গেমসকে লক্ষ্যবস্তু করা মানে ফ্রান্সকে টার্গেট করা।’
হামলাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তির কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গাব্রিয়েল আত্তাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এই অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছে এবং যারা জড়িত তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
এই হামলায় প্রায় আট লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএনসিএফের প্রধান ইয়ান-পিয়েরে ফারান্ডু। তবে ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করেছে পুলিশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে ৩ লাখ দর্শক হতে পারে বলে আশা করছে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ। সবার নিরাপত্তার জন্য ৪৫ হাজার পুলিশ, ১০ হাজার সৈনিক ও ২ হাজার প্রাইভেট এজেন্ট মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে বাসার ছাদে স্নাইপার ও আকাশে ড্রোনের ব্যবস্থাও করেছে।