NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, জুন ৭, ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Logo
logo

আদালতের রায়ের পর কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

আদালতের রায়ের পর কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি

আদালতের আদেশের পরও যদি কেউ ব্লকেড কর্মসূচির নামে রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে তবে পুলিশ প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের ওপর সর্বোচ্চ আদালত চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। ফলে আজ থেকে শিক্ষার্থীদের আর জনদুর্ভোগ করার কোনো অবকাশ আছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ মনে করে না।

 

তিনি আরো বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তাদের প্রতি পুলিশের অবশ্যই ভালোবাসা, সহমর্মিতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে দেশের প্রচলিত আইন ও সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। সে জায়গা থেকে যেহেতু শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত, ফলে ডিএমপির পক্ষ থেকে আমি বিনীত অনুরোধ করছি তারা যেন জনদুর্ভোগ হয় এমন কোনো কর্মসূচি না দেয়।’

এদিকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর একমাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্রটি বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

কোটাবিরোধী আন্দোলনে ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে এ কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা আসে বুধবার রাতেই।

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত শনিবার (৬ জুলাই) শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারাদেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন।

এ কর্মসূচিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে সেই আন্দোলন রূপ নেয় এক দফায়।

 

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে টানা চার ঘণ্টা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রথম দিনের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ওইদিন রাতেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে পরদিন সোমবারও বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে একই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

দ্বিতীয় দিনের অবরোধ প্রত্যাহারের আগে মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি এবং সেই কর্মসূচি শেষে বুধবার আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবারও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসে।