NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলেন কিয়ার স্টারমার


খবর   প্রকাশিত:  ০৬ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৪১ এএম

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলেন কিয়ার স্টারমার

প্রায় ১৪ বছর পর এই প্রথম লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী দেখল যুক্তরাজ্য। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভদের ভরাডুবিতে বড় জয়ে পার্লামেন্টে ফিরছে লেবার পার্টি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস কিয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর তিনি ডাউনিং স্ট্রিটে যাবেন।

সন্ধ্যায় স্টারমার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করবেন। পরদিন শনিবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার বৈঠক বসবে।

 

লন্ডনে ভাষণ দিতে গিয়ে কিয়ার স্টারমার লেবার পার্টির সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘পরিবর্তন শুরু হলো। ভালো লাগছে।

আমাকে সৎ থাকতে হবে।’

 

টোরিদের সমর্থন কমে যাওয়ায় লেবার পার্টি এত বড় জয় পেয়েছে। কিয়ার স্টারমারের দল নাটকীয় এ উত্থানের সাক্ষী। ২০১৯ সালে তার পূর্বসূরি জেরেমি করবিনের অধীনে ভোটে গিয়েছিল দলটি।

 

৬১ বছর বয়সী স্টারমার পড়াশোনা করেছেন রেইগেট গ্রামার স্কুল, ইউনিভার্সিটি অব লিডস ও ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডে। তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ডার এনএইচএসের একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে স্টারমারের সংসদীয় আসন হলবর্ন ও সেন্ট পানক্রাস।

লেবার পার্টির এ নেতা নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির বলেই পরিচয় দেন।

তার বেড়ে ওঠা সারের অক্সটেডে। তার বাবা ছিলেন টুলমেকার, মা নার্স। স্টিলস রোগে আক্রান্ত তিনি। হাঁটতে ও কথা বলতে পারেন না।

 

রেইগেট গ্রামার স্কুলে ভর্তি হওয়ার দুই বছরের মাথায় সেটি বেসরকারি হয়ে যায়। স্থানীয় কাউন্সিল ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তার ফি চালিয়ে যায়। স্কুল শেষে পরিবারের প্রথম হিসেবে স্টারমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখেন। তিনি অক্সফোর্ডে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৮৭ সালে স্টারমার ব্যারিস্টার হন। পরে মানবাধিকার আইনে বিশেষত্ব অর্জন করেন।

২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হোলবর্ন ও সেন্ট পানক্রাস থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর স্টারমার ২০২০ সালের এপ্রিলে দলের নেতা হন। বিজয় ভাষণে তিনি লেবার পার্টিকে আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যাশার সংযোগে নতুন এক যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।