NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রন ঢেউ, হাসপাতালে রেকর্ড ভর্তি


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:৫৫ এএম

অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রন ঢেউ, হাসপাতালে রেকর্ড ভর্তি

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সোমবার এই উপধরনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে রেকর্ড প্রায় পাঁচ হাজার ৪৫০জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

জুন মাসের শেষ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ওমিক্রনের বিএ.৪ এবং বিএ.৫ উপধরনে সংক্রমিত। টিকা নিয়ে বা আগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে ওই দুটো উপধরন তা ফাঁকি দিতে পারে। এগুলো হামের মত সংক্রামক বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

অস্ট্রেলিয়ায় এবার কোভিড আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তা নতুন রেকর্ড। দুই বছর আগে এ রোগের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আগে কখনও একবারে এত রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল না। দেশজুড়ে মহামারী ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে অস্ট্রেলিয়া সরকার আগে থেকেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এ বছর জানুয়ারিতে ওমিক্রন ধরন যখন প্রথমবার ছড়ায় সেবার অস্ট্রেলিয়ায় একবারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৩৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। শুধু হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাই বাড়েনি, বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শনিবার দেশটিতে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এটি নতুন রেকর্ড।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এবার এক হাজারের বেশি বৃদ্ধাশ্রমে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত অন্যান্যদের মধ্যেও বয়স্ক মানুষের সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালগুলোতে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীও এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অথবা আইসোলেশনে আছেন। ফলে কোভিড ইউনিটগুলোতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে।

শীতের সময়ে কোভিড-১৯ এবং ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে বলেছে। এছাড়া, সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শও দিয়েছে।

যেসব দেশে অধিকাংশ মানুষ কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছে অস্ট্রেলিয়া তার একটি। দেশটিতে ১৬ বছরের বেশি বয়সের ৯৫ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম দুই ডোজ গ্রহণ করেছে। বুস্টার ডোজ পেয়েছে ৭১ শতাংশ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ ১৩ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১১ হাজার ১৮১ জন। সংখ্যায় যা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় ‍অনেক কম।