ফুটবলকে পায়ের পাতা দিয়ে ট্যাপ করে মিনিটে সর্বোচ্চ ২২০ বার স্পর্শ করে গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ড গড়েছেন ঢাকা ঝালকাঠির নলছিটির রাগীব শাহরিয়ার অংকন। আগের রেকর্ড ছিলো ২১২ বার। মঙ্গলবার অংকন অফিসিয়ালি তাঁর এ অর্জনের সনদপত্র হাতে পেয়েছেন। এর আগে তাঁর এ কৃতিত্বের জন্য গত ২০ ফেব্রæয়ারি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড ওয়েবসাইটে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
অংকন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। তাঁর বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি শহরের হাই স্কুল সড়কে। তিনি নলছিটি প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. এনায়েত করিমের ছেলে।
মেধাবী অংকনের এ ব্যতিক্রমি অর্জনে নলছিটিবাসী ও তাঁর সহপাঠীরা তাকে ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রাগীব শাহরিয়ার অংকন বলেন, এ রেকর্ড গড়তে পারায় আমি অত্যন্ত খুশি। এজন্য আমি দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছি। দৃঢ় প্রচেষ্টা ও অনুশীলনে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আমি সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি।
নলছিটি সরকারি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউনুস আলী খান বলেন, অংকন আমাদের বিদ্যালয়ে যখন পড়তো, খুবই মেধাবী ছিল। সে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছে। শুনেছি সে ফুটবলে ট্যাপ করে গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ড গড়েছে, এতে আমি ওর শিক্ষক হিসেবে গর্বিত মনে করছি। অংকন আরো এগিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা।
অংকনের সহপাঠী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র রাইদ ইসলাম খান বলেন, অংকনকে দেখেছি যে কাজটিই করবে, তা খুবই মনযোগ দিয়ে করবে।
এ জন্যই সে সবক্ষেত্রে ভালো করে যাচ্ছে। অংকন আমাদের গর্বিত করেছে, সে বিশ^ রেকর্ড করায় আমরা আনন্দিত। তাঁর জন্য সবসময় শুভ কামনা রইলো।
অংকনের বাবা সাংবাদিক এনায়েত করিম বলেন, আমার ছেলে গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ড করায় পরিবারের সবাই খুশি। অংকন পড়ালেখার পাশাপাশি ফুটবল নিয়ে সবসময় বেশি সময় দিতো। সে ফুটবলকে ভালো করে রপ্ত করেছে বিধায় মিনিটে ২২০ বার পায়ে স্পর্শ করতে পেরেছে। এই কাজটা খুবই কঠিন, অংকন কঠিনকে ধারণ করেছে। আমরা ওর জন্য গর্বিত।