২০০৭ সালে প্রথমবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। সে সময় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে ক্যান্সার জয় করেছিলেন। ফেরেন গানের জগতেও। এই সময়ে চলচ্চিত্র ও অডিওর গানের চেয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্টেজ শোতে।
খবর প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:০৪ এএম
২০০৭ সালে প্রথমবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। সে সময় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে ক্যান্সার জয় করেছিলেন। ফেরেন গানের জগতেও। এই সময়ে চলচ্চিত্র ও অডিওর গানের চেয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্টেজ শোতে।
দুই মাস আগে (ফেব্রুয়ারি) ফের দুঃসংবাদ এলো, নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ গানের শিল্পী। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
সাবিনা ইয়াসমিনের দীর্ঘদিনের সহকারী গায়ক জাহাঙ্গীর সাঈদ তখন জানিয়েছিলেন, ‘দুশ্চিন্তার কারণ নেই। ছোট্ট একটা সার্জারি করাতে হবে।
কিন্তু ঈদের পর দেড় সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনো দেশে ফেরেননি সাবিনা ইয়াসমিন। সিঙ্গাপুরে এখন কেমন আছেন তিনি? জাহাঙ্গীর সাঈদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপার সার্জারি এরই মধ্যে সফলভাবে শেষ হয়েছে।
এখন তিনি কতটা সুস্থ আছেন, শারীরিক অবস্থা কেমন? জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এটা তো চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। তবে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে বলতে পারি, আপা দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। আবার আগের মতো গাইবেন।’
সাবিনা ইয়াসমিনকে নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে গায়িকা বাঁধন। গতকাল বিকেলে বাঁধন বলেন, ‘আমি ব্যস্ততার কারণে সিঙ্গাপুরে যেতে পারিনি। তবে মিলি আন্টি আছেন। তিনিই সব দেখাশোনা করছেন। আমি খোঁজখবর রাখছি। আম্মাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। অনুরোধ করছি, কেউ যেন গুজব না ছড়ান। আপনারা শুধু দোয়া করবেন, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’
গানে রেকর্ড ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন কিংবদন্তি এই শিল্পী। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি গানের মানুষ। গেয়েছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত দুই শিল্পী মান্না দে ও কিশোর কুমারের সঙ্গেও। সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার পান। ১৯৬২ সালে রবীন ঘোষের সুরে প্রথম ছোটদের গানে কণ্ঠ দেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবিতে কণ্ঠ দেন। শুধু তা-ই নয়, প্রথমবার সুরকার হিসেবে ছবিটির চারটি গানের সুরও করেছিলেন তিনি।