NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ২৬, ২০২৫ | ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
বিষপান করা জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান বাংলাদেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে চীন: যুক্তরাষ্ট্র জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা হার্ভার্ডে বেলজিয়ামের ভবিষ্যৎ রানি এলিজাবেথের পড়াশোনায় ট্রাম্পের বাধা লাল কার্ড দেখলেন এমি মার্টিনেজ, শেষটা রাঙালো ম্যানইউ ১১০০-এর বেশি এজেন্ট শনাক্ত, অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশনে’ সরকার সরকারকে সমর্থন দিয়ে যেসব দাবি জানাল দলগুলো পেন্টাগনে সাংবাদিক প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আলী’ দিয়ে কান জয়, শাকিব বললেন ‘ঐতিহাসিক’ হাসিনার আমলের সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবি এনসিপির
Logo
logo

বেইলি রোডে আগুন ‘এভাবে সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না’


খবর   প্রকাশিত:  ১১ মার্চ, ২০২৪, ০৯:০৩ এএম

বেইলি রোডে আগুন ‘এভাবে সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না’

‘বৃদ্ধ বাবার আগেই সন্তানের মৃত্যু। শেষ বয়সে একজন বাবার জন্য এটাই বড় ব্যথা। বাকি জীবন ছেলে হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে! এভাবে সন্তানের মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছি না।’

কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বললেন ৭৪ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।

 

তিনি গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনে ভয়াবহ আগুনে মারা যাওয়া কাস্টমস কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিনের বাবা। ওই আগুনে কাস্টমস কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন ছাড়াও মারা যান তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নেছা হেলালী মিনা এবং তাঁদের সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে ফায়রুজ কাশেম জামিরা।

গতকাল রবিবার সকালে এই পরিবারের ছয়জন এসেছিলেন পোড়া ভবনটি দেখতে। মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব রাজিয়া বেগম ও তিন ছেলে শাহজাহান সাজু, হেলাল মোর্শেদ ও আবুল হাসনাত সুহিম এবং মেয়ে তসলিমা আক্তার লিমা।

 

কক্সবাজারের উখিয়ার মৌরিচাপালং থেকে গতকাল সকাল ১০টার দিকে এসে সকাল ১১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন তাঁরা।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১০ দিন পার হয়ে গেছে। এখনো প্রতিদিন ভবনটির সামনে মানুষ ভিড় করছে। পরিত্যক্ত ভবনটির নিরাপত্তায় প্রতিদিন ১০-১২ জন পুলিশ মোতায়েন থাকে।

 

এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলছিলেন, ভবনটি যত দিন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে না ফিরবে তাঁরা এখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

মর্গে থাকা দুই লাশের ডিএনএ পরিচয় শনাক্ত

বেইডি রোডের সাততলা ভবনটিতে আগুনের ঘটনায় মারা যাওয়া দুজনের মরদেহ এখনো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক নারী সাংবাদিক রয়েছেন। তাঁর নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবা সবুজ শেখ ওরফে সাবলুল আলম ও মা বিউটি খাতুন।

 

তাঁদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার বেদবাড়িয়া ইউনিয়নে। কলেজ সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর নাম বৃষ্টি খাতুন। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিআইডির ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া মর্গে থাকা অন্য লাশটির পরিচয়ও ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাবার নাম নজরুল ইসলাম। 

জানতে চাইলে রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, বৃষ্টি ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। উভয়ের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের ডিএনএ মিলেছে। শিগগিরই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

এ ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। যেকোনো সময় তাঁরা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে ও আগুনে পুড়ে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় অর্ধশতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু।