NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত


খবর   প্রকাশিত:  ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১২:১৯ এএম

নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২৬ জানুয়ারি কনিআইল্যান্ডের একটি বড় অডিটোরিয়ামে। সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ জসীমের পরিচালনায় সাধারণ সভায় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল বাশার, সহ-সভাপতি তাজু মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাজি মফিজুর রহমান, সদস্য খোকন মোশাররফ, রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, সালামত উল্যাহ, রমেশ চন্দ্র মজুমদার, প্রফেসর করিম, আবু নাসের প্রমুখ।



সাধারণ সভার শুরুতেই কোরআন তেলওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করে বেলাল মসজিদের ঈমাম মাওলানা মুফতি আসনারুল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক। সভাপতির বক্তব্যের পরই কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন দুই বছরের আর্থির রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে সংগঠনের ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে তিন লাখ ৬ হাজার ৭৫৪.৬৭ ডলার। রিপোর্ট নিয়ে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান শাহ নাসের স্বপন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হেলাল উদ্দিন, মাওলানা জয়নাল, সিএমবিবিএর প্রেসিডেন্ট রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি, আনোয়ার হোসেন লিটন, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সবুজ, জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, মোস্তাফা কামাল পাশা বাবুল।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা প্রথমে ওয়াশিংটন মুসলিম মোমোরিয়ালে ৫০০ কবরের জায়গা ক্রয় করেছিলাম। সেই কবরের পুরো অর্থ আমরা পরিশোধ করি। যা ওই সময়ে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এখনো সেখানে আমাদের প্রায় ২৫০টির মতো কবর রয়েছে। কিন্তৃ মহামারি করোনার সময় আমরা মানুষের কষ্ট দেখেছি। সেই সময় অবশ্য বাংলাদেশ সোসাইটিসহ কয়েকটি সংগঠন এগিয়ে এসেছিল। তিনি বলেন, আমরা শুধু নোয়াখালীবাসীর কবরের জায়গা নিয়ে চিন্তিত নই, আমরা এখন পুরো বাংলাদেশি কম্যুনিটির কবরের দায়িত্ব নিতে চাই। আমরা ইতিমধ্যেই আপস্টেটে ১২৬ একর জায়গা ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেখানে প্রায় ১ লাখ মানুষের কবরের জায়গার ব্যবস্থা হবে। যদিও আমরা বেশ কয়েকটি জায়গা দেখেছিলাম, কিন্তু পরীক্ষা করার পর বাদ দিয়েছি। এখন আমরা যে জায়গা ক্রয় করছি ব্রুকলিন থেকে সেই জায়গার দূরত্ব ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মতো। গত ৭ নভেম্বর আমরা এই জায়গার কনট্রাক্ট সাইন করেছি। গত ২২ জানুয়ারি ছিল ঐ শহরের টাউন প্ল্যানিং বোর্ডের সঙ্গে আমাদের বৈঠক। সেই বৈঠকে তারা সম্মত হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা ডিজাইনার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সবাইকে নিয়োগ দিয়েছি। কাগজপত্র পেলেই আমরা মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ শুরু করবো। আশা করি আপনাদের সহযোগিতা পেলে আগামী জুনের মধ্যে আমরা কবর দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবো। ১২৬ একরের জায়গাটি তিনভাবে বিভক্ত। একটি অংশে রয়েছে ৩২ একর। যেখানে ৪০ হাজার মানুষকে কবর দেওয়া যাবে। এই প্রকল্পের আগে আমরা ৫০৫ ম্যাকডোনাল্ড অ্যাভিনিউয়ের ৬ তলার বাড়িটিও ঋণমুক্ত করেছি। আমরা আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ঐ জায়গায় কবর দিতে পারবো। এখন প্রয়োজন অতীতের মত আপনাদের সহযোগিতা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন এগিয়ে এসেছেন। চুক্তি অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে আমাদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আমাদের প্রয়োজন প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যে আমরা হাফ মিলিয়নের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আশা করি আপনারা এগিয়ে আসবেন।
আব্দুর রব মিয়া বলেন, এটা আমাদের তৃতীয় নয় চতুর্থ প্রকল্প। প্রথম প্রকল্প ছিল প্রথম বাড়ি, দ্বিতীয় প্রকল্প করব, তৃতীয় প্রকল্প দ্বিতীয় পাতি এবং চতুর্থ প্রকল্প হচ্ছে বাংলাদেশ সেমিট্রি এবং ফিউনারেল হোম। আশা এই কাজেও আমরা সফল হবো এবং প্রবাসে নতুন ইতিহাস রচনা করবো। তিনি নোয়াখালী ভবনে ভ্রম্যমান কন্স্যুলেটে সেবা নিয়ে বলেন, আমরা গত সপ্তাহেও কন্স্যুলেট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। যেখানে জাহিদ মিন্টুও ছিল। তারা আমাদের জানিয়েছে, তারা এখানে কন্স্যুলেট সেবা দেবে না। কে বা কারা অভিযোগ করেছে আমরা নাকি কন্স্যুলেট সেবার নামে অর্থ নিচ্ছি। এই মিথ্যা অভিযোগ আমরা খন্ডানোর চেষ্টা করছি।
হাজী মফিজুর রহমান একজন দুই জন বক্তার বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, (আনোয়ার হোসেন লিটন) যারা কাজ করে তাদের সমালোচনা হয়। কিন্তু যারা কাজ করে না তাদের সমালোচনা হয় না। তাদের কাজই হচ্ছে সুযোগ পেলে সমালোচনা করা। কিন্তু কোন দিন সংগঠনের ফান্ডে কোন অর্থ দেয়নি। ভাল কাজে এগিয়ে আসেননি। এমনকি নিয়মিত চাঁদা দিয়ে সদস্য পদও রাখেননি। তিনি বলেন, জাহিদ মিন্টু আমাদের গর্ব। সে আছে বলেই এই কাজগুলো করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে। আমরা আরো জাহিদ মিন্টু চাই।
তবে যারা সদস্য নন, তাদের বক্তব্যের সুযোগ দেওয়ার জন্য অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।