NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

বাংলাদেশি নাদিয়ার লিভারে বেঁচে গেলো আমেরিকান শিশু ডায়নার জীবন


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:১৪ এএম

বাংলাদেশি নাদিয়ার লিভারে বেঁচে গেলো আমেরিকান শিশু ডায়নার জীবন

নিজের লিভারের একাংশ দান করে এক আমেরিকান শিশুর জীবন বাঁচালেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নিউজার্সি রাজ্যের বাসিন্দা নাদিয়া হোসেন। নাদিয়ার শরীর থেকে অপারেশনের মাধ্যমে লিভারের অংশবিশেষ কেটে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে শিশু ডায়নার শরীরে। আর এতেই মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছে শিশু ডায়না। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ষ্টেট এর সেন্ট লুইস হসপিটালে হয়েছে এ জটিল অপারেশন। উল্লেখ্য, বরিশালের ডা. জাকির হোসেন এবং সিলেটের ফারিয়েল সুলতানা, নাদিয়া হোসেনের গর্বিত পিতা-মাতা।

সম্প্রতি লিভারের জটিলতা নিয়েই পৃথিবীর আলো দেখে শিশু ডায়না। জন্মের পরই তাকে নিতে হয় হাসপাতালের নীবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। ডাক্তাররা জানালেন লিভার প্রতিস্থাপন না করলে ডায়নাকে বাঁচানো যাবে না। চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলেন ডায়নার বাবা, মা। কোথায় পাবেন লিভার? একটা সুস্থ, স্বাভাবিক লিভার কে ডোনেট করবে তাদের সন্তানকে?

মমস রাইজিং নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে আবেদন জানালেন স্যোসাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমে। সেই আবেদন চোখে পড়ে নিউজার্সি রাজ্যের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেনের। তিন সন্তানের জননী নাদিয়া সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শিশুটিকে লিভার ডোনেট করবেন। হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজার্সি থেকে ফ্লাইট করে ছুটে গেলেন মিসৌরি স্টেট এর সেন্ট লুইস হসপিটালে।

গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সেখানে অপারেশনের মাধ্যমে নাদিয়ার শরীর থেকে লিভার এর অংশবিশেষ কেটে তা প্রতিস্থাপন করা হলো শিশু ডায়নার শরীরে।

ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকলো ডায়না। অপারেশনজনিত ধকল কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেছেন নাদিয়াও। গত ২১ জানুয়ারি রোববার তিনি বাসায় ফিরেছেন। একটি নিষ্পাপ শিশুর জীবন রক্ষায় দুঃসাহসী মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় কমিউনিটির প্রসংশায় ভাসছেন নাদিয়া হোসেন।