নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনের পরিবেশ এখনো ভাল দেখছি। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের সম্পদ না। তিনি বাংলাদেশের সম্পদ। কারণ ওদের (বিএনপি) হাতে গেলে দেশ শেষ হয়ে যাবে।
খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:২১ এএম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনের পরিবেশ এখনো ভাল দেখছি। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের সম্পদ না। তিনি বাংলাদেশের সম্পদ। কারণ ওদের (বিএনপি) হাতে গেলে দেশ শেষ হয়ে যাবে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় আদর্শ স্কুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাপ্রদান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান আরো বলেছেন, ‘আমার এলাকায় কোথায় কী ভোট হচ্ছে আমি জানি না। সকাল থেকে এবাদতে ছিলাম। তারপর মা-বাবা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেছি। আমরা কমিটমেন্ট করেছিলাম, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিব।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যত ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তাকে হত্যার ওর আমাদপর ভবিষ্যত চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।
নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী বলেছেন, ‘আমি ওদের (বিএনপি) রাজনৈতিক দল বলি না। ওরা আগুন সন্ত্রাসীদের দল। গতকালও আগুন দিয়ে চারজনকে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদের রাজনৈতিক দল বললে রাজনীতিবিদদের অপমান হবে। গতকাল ফতুল্লায় এলটি কেন্দ্রে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। এলাকার সাধারণ মানুষ ধাওয়া দিয়ে একজনকে ধরে পুলিশে দেয়।’
‘আমি দেখেছি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছে মানুষ। নারীরাও আছে। তবে কিছুটাতো প্রভাব পড়েছেই ট্রেনে আগুন দেওয়ায়৷ তারপর বলল ভোটকেন্দ্রে আসবে যারা লাশ হয়ে ফিরবে তারা। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ একটু ভয় পাবেই। তবে সর্ষের ভেতর ভূত আছে। যারা নির্বাচন পরিচালনা করছে তাদের ভেতরও ভূত আছে। তারা চাইছে ভোটটা ঘোরাতে। আমি আমার এলাকায় এমনটা খবর পেয়েছি।’
‘একটি কেন্দ্রে খবর পেলাম, সেখানে ভোটারদের বের করে দেওয়া হচ্ছে সঙ্গে মোবাইল থাকার কারণে। মোবাইল তো এখন সবার কাছেই থাকে। পরে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এখন ভোট হচ্ছে। তবে এ সময়ে দুই-তিন হাজার ভোটার কিন্তু ঘুরে চলে গেছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে লোকজন আছেন। যারা অন্য কারো পারপাস সার্ভ করার চেষ্টা করছে।’
শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘যারা মানুষ মারছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। আল্লাহর রহমতের সঙ্গে কেউ পারে না। আমি আমার দলে খারাপ দেখলে প্রতিবাদ করি। আপনারাও সাংবাদিক হিসেবে প্রতিবাদ করুন। আমাদের তরুণ প্রজন্ম, আমাদের যুবকরা এখন সচেতন।’