একই সঙ্গে কীটনাশক ও সরঞ্জাম দিতে হবে। একই সঙ্গে জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে।
কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘জরিপে যখন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উচিত সেই ঝুঁকিগুলো নিরসন করা। এ জন্য দরকার কীটতত্ত্ববিদদের নেতৃত্বে কমিটি। তবে আদৌ সেটা করা হয়নি। শুরু থেকেই আমরা কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতা বাড়ানো কথা বলে আসছি। আমার কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ তিনি বলেন, ‘মশা এখন দেশজুড়ে ছড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে শুধু ঢাকায় জরিপ করা আংশিক কাজ হলো। আমাদের সারা দেশে জরিপ চালাতে হবে। মশা নিধনে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করতে হবে। সরকার মশা নিধনে নতুন কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছে। তবে এটিও অনেক দুর্বল।’
আক্রান্ত ৫৮ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৫৮ শতাংশে বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছর। ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর ৪১ শতাংশ এই বয়সীরা। যাদের বেশির ভাগই কর্মজীবী ছিল।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী ও ৬০ শতাংশ পুরুষ ছিল। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ নারী ও ৪৩ শতাংশ পুরুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৩৪ শতাংশ ঢাকায় চিকিৎসা নিয়েছে। ৬৬ শতাংশ চিকিৎসা নিয়েছে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ ও বরিশাল জেলায়।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে এই ভূখণ্ডে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। সে সময় একে ‘ঢাকা ফিভার’ নাম দেওয়া হয়েছিল। ২০০০ সালে ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দেয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে চলতি বছর। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০২২ সালে, ২৮১ জন। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রথমবার এক লাখ ছাড়ায়। সে বছর ভর্তি হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। মৃত্যু ১৭৯ জনের।