খবর প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
মোঃমনির মন্ডল,বাংলাদেশের সাভারঃ আশুলিয়ায় সরকারি চাকুরী দেয়ার কথা বলে ১৮ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগে আবু সাইদ (৪৪) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার সাইফুল মেম্বারের বাড়ীর ২য় তলায় ভাড়া থেকে ভুয়া চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছিল।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামী কে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে প্রতারক আবু সাঈদকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত হলেনঃ মোঃ আবু সাঈদ (৪৪) ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন নয়ারহাট এলাকার মৃত হায়াত আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানাযায় , প্রতারক আবু সাঈদ সে নিজেকে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার মঞ্জিলা ফারুক ও আমলাদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা আছে। সে সুবাদে বেশ কিছু লোককে সরকারি চাকুরি দিয়েছে। সে মতে আমিসহ আমার ৫ বন্ধুকে ভুল বুঝিয়ে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন ও অডিট বিভাগে সরকারী চাকরি দেওয়ার কথা বলে । এতে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে ৬০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এর পর চাকুরির কাগজপত্র ঠিক করতে প্রথমে ৩ লক্ষ টাকা সমাহারে আমাদের কাছ থেকে মোট ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর হিসাব নং- ৭০১৭৩২২০৫২৮০৮ তে বিগত ১৭/০১/২০২২ইং তারিখে এবং ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আমরা নগদে বিগত ০৯/০১/২০২২ ইং তারিখে অভিযুক্ত আবু সাঈদের বাসায় প্রদান করা হয়।
পরে আমাকে ভুল বুঝিয়ে চাকরী হইলে অঙ্গীকারের ৬০ লক্ষ টাকা চাকরী শেষে প্রদানের নিশ্চয়তার স্বরুপ সিকিউরিটি হিসেবে আমার কাছে থেকে আমার নিজ নামীয় সোনালী ব্যাংক, ঈশ্বরগঞ্জ শাখার চলতি হিসাব নং- ৩৩১১৮০১০৩২৯৪৭ এর দুটি টাকার অংক এবং তারিখ বিহীন চেক এবং এসএসসি, এইচএসসি এর মুল সনদ পত্র উক্ত ০৯/১১/২০২১ ইং তারিখেই অভিযুক্ত আবু সাঈদের বাসার ঠিকানায় বসে গ্রহণ করে। এর পর তাকে চাকরীর ব্যাপারে কথা বলিলে নানা তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে সে জানান, যারা চাকুরী দিবেন তারা এখন চাকুরী দিতে পারবে না। এসময় টাকা, চেক ও স্টাম্প ফেরত চাইলে সে জানান, এইসব বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চেক ও স্ট্যাম্প অপব্যবহারে জেলে পুরে মারবে ।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বলেন, চাকুরী দেয়ার কথাবলে প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে আবু সাঈদ নামে এক প্রতারককে আটক করা হয়েছে। পরে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া যায়। তাই তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।