NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় ১ শিশুকে হত্যা


খবর   প্রকাশিত:  ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:২১ এএম

প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় ১ শিশুকে হত্যা

কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া দেখে “দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু” বলায় সায়মন নামের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত মো. খেলু পাঠানের ছেলে মো. বিল্লাল পাঠান (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।

 

জানা গেছে, এ বছরের ১৬ আগস্ট থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের খোরশেদা আক্তারের (৪০) ছেলে সায়মন (৭) নিখোঁজের পর ১৯ আগস্ট সকালে কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি বালুর মাঠের ঝোপে শিশু সায়মনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুর মা খোরশেদা আক্তার তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ মো. বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে সে এবং এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি শেফালী আক্তার (৪২) জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায় যে, শেফালী আক্তার সম্পর্কে তার জেঠস (স্ত্রীর বড় বোন)। শেফালীর স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তাদের মাঝে একটা অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। ১৬ আগস্ট বিকেলে বিল্লাল পাঠান ও শেফালী অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। তাদের এই অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঐ বাড়িতে খেলতে যাওয়া শিশু সায়মন তাদেরকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলে। এসময় সায়মন বলে যে, “দেইখা ফালাইছি হগলরে কইয়া দিমু।” শিশু সায়মনের এমন কথা শুনে বিল্লাল আতঙ্কিত হয়ে সায়মনের গলা ও মুখ চেপে ধরে। একই সাথে সায়মন যেনো এই কথা কাউকে জানাতে না পারে এটি নিশ্চিত করার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে।

 

শেফালী তার ঘরে থাকা আলমারীর ওপর থেকে ছুরি এনে দিলে আসামি বিল্লাল শিশু সায়মনের বুকের দুই পাশে তিন থেকে চারটি গভীর ছুরিকাঘাত করে। এভাবে সে দাঁড়িয়ে থেকে শিশু সায়মনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর আসামি বিল্লাল ও শেফালী ঘরে থাকা প্লাস্টিকের বস্তায় সায়মনের লাশ ঢুকিয়ে খাটের নিচে রেখে দেয়। রাত ১২টার পর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে বালুর মাঠে কাশবনের ঝোঁপের মধ্যে বস্তাবন্দী লাশ ফেলে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে।

 
 
 
 

পুলিশ সুপার আরও জানান, শেফালী আক্তারকে ঘটনার চারদিন পর গত ২০ আগস্ট ডিবির তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো. বিল্লাল পাঠানের নামে দুইটি মারামারির মামলা আছে।