খবর প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:২২ এএম
ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে রেফারিদের সংকট চলছেই। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের অর্থ নতুন নির্ধারিত অঙ্কে না পাওয়ায় হার্ডলাইনে রেফারিরা। গত পরশু দিন বুধবার ঢাকা আবাহনী ও স্বাধীনতার ম্যাচে ছিলেন না শীর্ষ কোনো রেফারি। চার জনের মধ্যে একজন ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণির। রেফারিদের অনড় অবস্থানের ফলে বাফুফে দাবি মেনে নতুন নির্ধারিত অঙ্কেই প্রথম পর্বের ফি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এতে ফেডারেশনের বাড়তি ব্যয় হবে ১০ লাখ টাকার মতো।
দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশ্বাসে এখন আর বিশ্বস্ত হতে পারছেন না রেফারিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রেফারি-সহকারী রেফারি বলেন, নতুন ফি অনুযায়ী চেক হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে যাব না। ফেডারেশন এ রকম আশ্বাস অনেক দিয়েছে কিন্তু বাস্তবায়ন তেমন হয়নি। ফলে আমরা এবার চেক না পাওয়া পর্যন্ত মাঠে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে রয়েছি।
কঠিন অবস্থানে বেশ কয়েকজন রেফারি থাকলেও কয়েকজন আবার নানা পারিপার্শ্বিকতায় আজ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে ফিফার ব্যাজধারী ও ফিফা রেফারি একাডেমির প্রোগ্রামে যারা রয়েছেন তারা পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে ফেডারেশন থেকে ম্যাচ পরিচালনার চাপ আবার অন্য দিকে সতীর্থদের অবস্থান। এ পরিস্থিতির মধ্যে আজ ম্যাচ পরিচালনায় শেষ পর্যন্ত যোগ দিয়েছেন কয়েকজন। কারণ এ ম্যাচ পরিচালনায় যুক্ত না হলে অনেকের সামনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ বাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেডারেশন রেফারিদের অনুরোধ করার পাশাপাশি কিছুটা চাপও দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আগের ফি’র চেয়ে নতুন ফি’তে প্রথম পর্বের পারিশ্রমিক দিতে দশ লাখ টাকা বেশি লাগবে। এ অর্থ জোগাড় করতে কিছুটা সময় লাগবে। অধিকার আদায় আন্দোলনে থাকা রেফারিরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলে লিগের বাকি তিন রাউন্ড এভাবেই চলার সম্ভাবনা বেশি।
এবার ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম জুড়ে আলোচনায় রেফারিং। শুরুর দিকে রেফারিদের সিদ্ধান্ত সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। লিগের মাঝপথে রেফারিরা সম্মানী বৃদ্ধি, বকেয়া আদায়সহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেন। সেই সময় রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর বাহাদুর এ পরিস্থিতি সমাধানের উদ্যোগ নেন। এরপর কেটে যায় কয়েক মাস।
এরপর ফেডারেশন ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। সেটাতে রেফারিরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর পুনঃমূল্যায়ন করে রেফারি ও ফেডারেশন দুই পক্ষ ছাড় দিয়ে মাঝামাঝি অবস্থায় স্থির হয়। কিন্তু ঈদের পর প্রথম পর্বের মাত্র অর্ধেক অর্থ পাওয়ায় এবং সেটাও আগের হারে হওয়ায় রেফারিরা আবার কঠোর অবস্থানে যায়।