ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিশ্লেষক আগাথে ডেমারাইস বলেন, রাশিয়ার ওপর আরোপিত শাস্তির মূল লক্ষ্য বিশ্বের নবম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে ধ্বংস করা নয়। কারণ তাতে বৈশ্বিক সংকটের সূচনা হতে পারে। রাশিয়ার সরকার পরিবর্তনও তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য হলো, রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে সীমিত করে তোলা।
কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের বিশ্লেষক আলেজান্ড্রা প্রোকোপেনকো বলেন, রাশিয়ার অর্থনীতি ভালোভাবেই চলছে, তবে এর কর্মক্ষমতার সূচকগুলো বিভ্রান্তিকর। এগুলো সবই ‘অতি উত্তপ্ত’ অর্থনীতির লক্ষণ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক-তৃতীয়াংশ আসছে সামরিক খাত থেকে। কাজেই অর্থনীতি সামরিক খাতের ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
প্রোকোপেনকো আরো বলেন, তেলের ওপর নির্ভরতাও যুদ্ধের আগের সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
চীন ও ভারতের মতো বড় ক্রেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রধান রপ্তানি আয় এখনো তেল-গ্যাস বিক্রি থেকে আসে। পরিবেশ বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংগঠন গ্লোবাল উইটনেস জানায়, চলতি বছরের সাত মাসে ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ৪০ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা প্রায় ৫৭০ কোটি ডলারের সমতুল্য।
কাজাখস্তানসহ সাবেক সোভিয়েতভুক্ত বিভিন্ন দেশ এবং তুরস্ক, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বাধা এড়াতে মস্কোকে সহায়তা করার পরিকল্পনায় যুক্ত আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের মতো বিভিন্ন দেশের সহায়তায় পশ্চিমা অস্ত্র প্রযুক্তিও সংগ্রহ করতে পারছে রাশিয়া। কার্নেগির বিশ্লেষক প্রোকোপেনকো বলেন, এমনকি ইউরোপীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যেতেও প্রস্তুত আছে।
সূত্র : এএফপি