নাঈমের টার্ন ও বাউন্সে মিচেল স্যান্টনার বিদায় নেন দ্রুতই। এরপর আবার বাধা। কাইল জেমিসনের সঙ্গে ফিলিপস জুটিটা আরো বড়—৫৫ রানের। এরপর টিম সাউদিকে নিয়ে আরো ২৮ রান যোগ করে ফিলিপস আউট হন ৮৭ রানে। তাঁর ৭২ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ৪ ছক্কা। সাউদি ১৪ রানে আউট হলে ১৮০ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কুড়িয়ে বাড়িয়ে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
১০০ রানের আগে নিউজিল্যান্ডের ৭ উইকেট, বাগে পেয়েও লিড নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে হতাশা কাজ করার কথা। ফিলিপসের সঙ্গে লেজের ব্যাটারদের জুটিগুলো বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে। ব্যাপারটিকে এক অর্থে স্বাভাবিকভাবে নিলেও লিড পেলে ভালো লাগত বলে জানিয়েছেন নাঈম, ‘একটা জুটি হতেই পারে, যে কেউই একজন ভালো খেলতেই পারে। এখন ওদের মধ্যে (ফিলিপস) ভালো খেলছে, এ জন্য ওরা লিড নিতে পেরেছে। লিড পেলে ভালো হতো…এখন দিন শেষে আমরা লিড নিয়েছি। যদি ভালো ব্যাটিং করি, ভালো একটা স্কোর হবে।’
প্রথম দিনে পড়া ১৫ উইকেটের ১৩টিই স্পিনাররা নিয়েছেন। কাল নিয়েছেন ৭ উইকেটের ৪টি। বোঝাই যাচ্ছে, স্পিন ঘূর্ণি ব্যাটারদের জীবন কঠিন করে তুলেছে। এই উইকেট ব্যাটারদের জন্য কতটা কঠিন, স্পিনাররাই তো ভালো বলতে পারবেন। অফ স্পিনার নাঈমের উত্তর, ‘উইকেট যেমনই হোক, খেলতে হবে, কোনো অজুহাত দেওয়া যাবে না।’
মিরপুরের ‘লাগ ভেলকি লাগ’ উইকেটে অজুহাত খোঁজার সুযোগও নেই নাঈমদের। সিরিজ জয়ের জন্য এমন উইকেটই তো চেয়েছে বাংলাদেশ দল, যে ২২ গজে ব্যাটিং যত বড় দুঃস্বপ্নই হোক না কেন!
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ : ১৭২ এবং ৩৮/২ (জাকির ১৬ ব্যাটিং, মাহমুদুল ২, নাজমুল ১৫, মমিনুল ০ ব্যাটিং; এজাজ ১৩/১, সাউদি ৮/১)। নিউজিল্যান্ড : ১৮০/১০ (ফিলিপস ৮৭, উইলিয়ামসন ১৩, জেমিসন ২০; মিরাজ ৫৩/৩, তাইজুল ৬৪/৩, নাঈম ২১/২, শরিফুল ১৫/২) তৃতীয় দিন শেষে।