NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

যুক্তরাষ্ট্র জিয়া পরিষদের আলোচনা


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:৫২ এএম

যুক্তরাষ্ট্র জিয়া পরিষদের আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্র জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ জিয়া এবং বর্তমান গণতন্ত্রের সংকট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা ক্ষতাসীন আওয়ামী লী সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছেন। শেখ মুজিবের মতো একদলীয় ‘বাকশাল’ কায়েমের লক্ষ্যে একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পায়তারা করছে। সরকার দেশ আর দেশের জনগণ নয়, বরং দল আর নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ফ্যাসিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ দেশের আপামর মানুষ জিয়াউর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে। দেশে রাজণেতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে বক্তারা একাত্তুরে শহীদ জিয়ার দেশপ্রেমের আদর্শ অনুস্মরণ করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান উপর গুরুত্বারোপ করেন। খবর ইউএনএ’র।

সিটির জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত জিয়া পরিষদের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার। সংগঠনের আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি সামসুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব জাকির হাওলাদার।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম, বিএনপি নেত্রী রিটা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সবুজ, গিয়াস উদ্দিন, বদরুল হক আজাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে সাবেক নেতা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। সেমিনারে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হানিফ চৌধুরী, প্রফেসর সাঈদ আজাদ, আলমগীর হোসেন, হারুন অর রশীদ ও মোশাররফ হোসেন।

সভায় ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, স্বাধীনতার প্রতীক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক আখ্যায়িত করে বলেন, তাঁর কারণেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, লাল-সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি, গণতন্ত্র পেয়েছি। তিনি আমাদের দেশ ও জাতির সকল জায়গায় বিরাজমান। তাঁকে নিয়ে এবং তার কর্মময় জীবন নিয়ে আমরা যত বেশী গবেষণা করবো, তাঁকে ততই জানবো এবং আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় তাঁর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একগুয়েমীর কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে। এই সংকট সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজনে সশ¯্র সংগ্রাম করতে হবে। সংগ্রাম-আন্দোলন ছাড়া কোন আন্দোলন সফল হয় না।

ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম বলেন, জিয়া পরিষদ পেশাজীবিদের সংগঠন, গবেষণাধর্মী সংগঠন, একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার আদর্শ আর কর্মকান্ড নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি তা জাতির কল্যানে বাস্তবায়ন করাই জিয়া পরিষদের কাজ। এজন্য তিনি প্রবাসের পেশাজীবিদের জিয়া পরিষদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিষদকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

সামসুল ইসলাম মজনু বলেন, বিএনপি রাজনীতির জায়গা। আর জিয়া পরিষদ পেশাজীবিদের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। বিএনপি করা আর জিয়া পরিষদ করা এক জিনিস নয়। তিনি দেশের চলমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

আলোচনা সভার এক প্রস্তাবে আমেরিকান সাবেক প্রেসিডেন্টদের নামে ও আদলে ঢাকায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ‘জিয়া লাইব্রেরী’ প্রতিষ্ঠা ও গবেষণা প্রকল্প চালু, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা ও রোষানলে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তাদের আর্থিক সাহায্য প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।