হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার। যুদ্ধবিরতি আলোচনা চালাতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি দল দেশটির রাজধানীতে গিয়েছিল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া ও তাঁর দলকে দোহা থেকে তেল আবিবে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস চুক্তির শর্তাবলি পূরণ করেনি। এর মধ্যে হামাসের কাছে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী সব নারী ও শিশুকে মুক্তি না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল।
কাতারে গত শুক্রবার জিম্মি মুক্তি নিয়ে দর-কষাকষি ব্যর্থ হওয়ার পর এক সূত্র বলেছে, এই মুহূর্তে তারা আরো একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা দেখছে না। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, তিনি আলোচনার আশা ছাড়েননি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক রেগেভ বলেছেন, জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়াই যুদ্ধবিরতি ভাঙার কারণ।
তিনি বলেন, হামাস যদি আরো জিম্মির মুক্তি দিতে রাজি হতো, তাহলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ ছিল। হামাস বলেছে, আরো জিম্মি মুক্তিসংক্রান্ত একাধিক প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। তবে ইসরায়েল সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ গাজায় একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন। ম্যাখোঁ বলেছেন, এই যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে তিনি খুব উদ্বিগ্ন। হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চেয়ে তিনি কাতার যাবেন বলেও জানিয়েছেন ফরাসি নেতা।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা