NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

চীন-মিয়ানমার সীমান্ত ক্রসিং দখল করেছে বিদ্রোহীরা


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:০১ এএম

চীন-মিয়ানমার সীমান্ত ক্রসিং দখল করেছে বিদ্রোহীরা

চীন-মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং দখল করেছে মিয়ানমারের একটি জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী। রবিবার সকালে দুই দেশের প্রধান বাণিজ্যিক রুট মুসেই জেলার মংকু এলাকার ক্রসিংটি দখলে নেয় তারা। তারপর সেখানে গোষ্ঠীটির পতাকা উত্তোলন করা হয়।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বরাত দিয়ে মিয়ানমারের স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) কিইন সান কিয়াউত সীমান্ত গেট দখল করেছে।

 
এমএনডিএএ এদিন সকালে মুসেই জেলার মংকু এলাকায় একটি বাণিজ্যিক গেট দখল করার কথাও জানিয়েছে। 

 

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত শুক্রবার আক্রমণ শুরুর পর আরাকান আর্মি (এএ) এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সদস্যসহ জোটটি সীমান্তের অন্য অংশে অবস্থান নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, কিইন সান কিয়াউত সীমান্তের বাণিজ্য গেটে এমএনডিএএ নিজেদের পতাকা উত্তোলন করেছে। করোনা মহামারির প্রকোপ কমার পর ২০২২ সালে বাণিজ্যিক গেটটি খোলা হয়।

 
আর এই বাণিজ্যিক গেটটি মিয়ানমার ও চীনের প্রধান বাণিজ্যিক রুট।

 

চলতি সপ্তাহের শুরুতে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ মিন তুন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, কিইন সান কিয়াউত সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার জন্য শতাধিক মালবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে।

গত অক্টোবরে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সশস্ত্র জোট জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে। এরপর চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

 
গোষ্ঠীগুলো বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর দখলে নিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা জান্তা সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্য রুট বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্রোহীরা।

 

মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান সংঘাত এরই মধ্যে দেশটির অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ধ্বংস করেছে গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য। জান্তা সরকারকে কর ও বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত করেছে।

 
স্থানীয় এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিইন সান কিয়াউত ক্রসিং দিয়ে যাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ট্রাক্টর ও ভোগ্যপণ্য।

 

সূত্র : এএফপি