NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
আফ্রিকায় জিম্মি করে মুক্তিপণ, মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক পোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য আজ, ড. ইউনূসসহ ভ্যাটিকানে বিশ্বনেতারা কিয়েভে হামলা, পুতিনকে ‘থামতে’ বললেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা ভারতের ‘সাজানো নাটক’, দাবি পাকিস্তানের কাশ্মীর হামলায় সরব হলেন সোনাক্ষী সিনহা ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Logo
logo

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৮:৩৫ এএম

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

নিউইয়র্ক :: নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ১৮ অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন স্মরণে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়। স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পূষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। অত:পর শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। এরপর শেখ রাসেল-এর জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকান্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “শেখ রাসেলের জন্মদিন উদ্যাপনের এই মুহুর্তে দুটি অনুভূতি আমাকে তাড়িত করছে। প্রথমত, সেদিন মাত্র ১০ বছর বয়সের শেখ রাসেল, জাতির পিতা, বঙ্গমাতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এমন নৃশংসতা সারা পৃথিবীতে বিরল। দ্বিতীয়ত, যে শিশুর বাবার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন দেশ জন্মলাভ করেছে, সেখানে আজ সেই শিশুটি নেই, কিন্তু আমরা আছি। এটা আমার মাঝে এক গভীর দুঃখবোধ ও গ্লানির জন্ম দিয়েছে”। স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কেউ কেউ এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে আছে। বিদেশী পালিয়ে থাকা এ সকল নৃশংস খুনীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতির পিতা খ্যাতনামা দার্শনিক বার্ট্র্যান্ড রাসেল এর নামে কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন। আজ রাসেল আমাদের মাঝে নেই। সেদিনের শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে হয়ত দার্শনিক বার্ট্র্যান্ড রাসেল এর মতই জগr বিখ্যাত হতেন। কিন্তু খুনিরা শিশু রাসেলকে বাঁচতে দেয়নি। তাকে হত্যার মাধ্যমে তার সকল ভবিষ্যত সম্ভাবনাকে অঙ্কুরে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেদিন আমরা ব্যর্থ হয়েছি শিশু শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে। শিশু শেখ রাসেলকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত। এ প্রসঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনে হাজার হাজার শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং সেখানে বসবাসরত শিশুদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পূর্বে মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন দেশ ও দেশের বাইরে শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের মাধ্যমে দেশে ও প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্পর্কে আরও জানতে পারবে। এর মাধ্যমে শেখ রাসেল এর পবিত্র স্মৃতি আজীবন সকলের মাঝে বেঁচে থাকবে যা শিশু-কিশোরদের মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যত নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
কেক কাটার মাধ্যমে শহীদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।