NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১৫ এএম

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বুধবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মোঃ নুরল ইসলাম শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন। এ সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা, চিত্রাংকন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

সন্ধ্যায় হাই কমিশনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এছাড়া, অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর-তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল শিশুর জন্য বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। 

 

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শেখ রাসেলের সাহস, মেধা ও মানবিক গুণাবলি সম্পর্কে আলোকপাত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক। তিনি শেখ রাসেলের মতো চারিত্রিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিশুরা যাতে বেড়ে উঠতে পারে এবং দেশের জন্য অবদান পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 


অনুষ্ঠান শেষে শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবার এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং স্বাগতিক দেশের আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। 


শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বিশেষ কেক কাটা হয়। সবশেষে রচনা, চিত্রাংকন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।