NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

সাকিবকে বল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পক্ষে এলে প্রশ্ন উঠতো না


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:৪৩ এএম

>
সাকিবকে বল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পক্ষে এলে প্রশ্ন উঠতো না

এবারের উইন্ডিজ সফরে হারতে হার‍তে যেন ক্লান্ত বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ খুইয়েছে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত সফরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ব্যাটিং ব্যর্থতা। তবে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের শেষ ম্যাচের পর কাঠগড়ায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বও। তার ‘মুখস্থ’ অধিনায়কত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা।

গায়ানার মন্থর উইকেটে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। ১০ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে নেয় উইন্ডিজ। অথচ এর আগে এই মাঠে ১৫০ রানের বেশি টার্গেট তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না। সমর্থকরা মনে করছেন, ভুলভাল বোলিং অ্যাটাকের জন্য হারতে হয়েছে ম্যাচ।

যেমন ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান সাকিব আল হাসান। সে ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। অথচ ম্যাচ হাত থেকে বের হয়ে গেলেও তাকে ১৬ ওভার অবধি আর বোলিংয়ে আনেননি মাহমুদউল্লাহ। কারণ ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স আর নিকোলাস পুরান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে যেন বাঁহাতি বোলার আনা রীতিমত অন্যায়! অথচ অফ স্পিনার মোসাদ্দেক তখন সমানে রান বিলিয়েছেন। ৪ ওভারে দেন ৩৪ রান।

ম্যাচ হারের পর দলের ওপেনার লিটস দাস জানান, পুরোটাই অধিনায়কের ব্যাপার। তবে সাকিবকে বল না দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত, সেটি পক্ষে এলে মাহমুদউল্লাহর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না। 

 

লিটন বলছিলেন, ‘দুই দিক দিয়েই করানো যায়। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সময় ডানহাতি বোলার বল করে, সমস্যা নাই। কিন্তু সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ অধিনায়কের। যদি সিদ্ধান্তটা ভালোর দিকে যেত, তাহলে হয়তোবা এই প্রশ্নটা আসতো না। মাঠ তো আমি চালাব না বা আর দশটা ক্রিকেটার চালাবে না। আশা করা উচিত অধিনায়কের যে সিদ্ধান্ত সেটা ফলো করা।’

উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ০-২ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার হারের বিস্বাদ পায় টাইগাররা। তিন ম্যাচের কুড়ি ওভারের সিরিজে শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার বোলারদের ব্যর্থতায় ৫ উইকেটে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও খোয়াল সফরকারীর। এমন হারের জন্য দলের টপ অর্ডারকে কাঠগড়ায় তুললেন লিটন।

 

লিটন বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। প্রথম ম্যাচে করিনি, দ্বিতীয় ম্যাচেও আমার মনে হয় না আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি, শুধু সাকিব ভাই ছাড়া। আমার মনে হয় যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছি, সেটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল উইকেট।’ 

সঙ্গে যোগ করেন লিটন, ‘ওপর থেকে আমি বা বিজয় ভাই বা মুনিম যেদিন খেলেছে, আমরা যদি নিজেদের রোলটা পালন করতে পারতাম, তাহলে পিছনের ব্যাটসম্যানরা মন খুলে খেলতে পারত। আমার মনে হয় আমাদের তিনটা ইনিংসে ব্যর্থতার কারণে সুবিধা করতে পারিনি। এই জিনিসটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে ব্যাটিংয়ে ভুগিয়েছে।’