NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ভারত-পাকিস্তান ভ্রমণ না করার পরামর্শ সরকারের সিদ্ধেশ্বরীতে ছিনতাইয়ের শিকার সেই নারীর পরিচয় জানা গেলো যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক খাতে ৯৪৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ঘোষণা নিবন্ধন না করলে ইমিগ্রেশন-সুবিধা বন্ধ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীকে সহায়তা করায় বিচারক গ্রেপ্তার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কার্ডিনাল প্রিফেক্ট কুভাকাডের সাক্ষাৎ ভারতীয় গণমাধ্যম পরিস্থিতিকে ‘অতিরঞ্জিত’ করছে - পাকিস্তানের মন্ত্রী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সমাহিত করা হলো পোপ ফ্রান্সিসকে ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত ৭৫০
Logo
logo

রবিবার জার্মানির দুই রাজ্যে নির্বাচন, আলোচনায় এএফডি


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

রবিবার জার্মানির দুই রাজ্যে নির্বাচন, আলোচনায় এএফডি

রবিবার জার্মানির বাভারিয়া ও হেসে রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অভিবাসনবিরোধী এএফডি পার্টি এ দুই রাজ্যে দ্বিতীয় বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

৪ অক্টোবরের সবশেষ জরিপ বলছে, বাভারিয়া রাজ্যে সবুজ দল ১৫ শতাংশ, এএফডি ১৪ শতাংশ এবং এসপিডি ৭.৫ শতাংশ ভোট পাবে। আর ৫ অক্টোবর হেসে রাজ্য নিয়ে করা জরিপে দেখা গেছে, সবুজ দল ১৬.৯ শতাংশ, এসপিডি ১৬.২ শতাংশ ও এএফডি ১৫.৬ শতাংশ ভোট পাবে।

 

 

বাভারিয়ায় জার্মানির প্রধান বিরোধীদল সিডিইউর সহযোগী দল সিএসইউ ৩৭ শতাংশ ভোট পাবে বলে সবশেষ জরিপ বলছে। আর হেসেতে সিডিইউ পাবে ৩১.৬ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ দুই রাজ্যেই সিডিইউ আবারও সরকার গঠন করবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

দুই রাজ্যে নির্বাচন শেষে এএফডি কত ভোট পাচ্ছে, সেদিকে সবার নজর থাকবে।

 
কারণ, বাভারিয়া ও হেসে রাজ্য দুটি জার্মানির সবচেয়ে ধনাঢ্য রাজ্যের মধ্যে পড়ে। মিউনিখ ও ফ্রাংকফুর্ট—এই দুই রাজ্যে অবস্থিত। সাধারণত, জার্মানির পূর্বাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রাজ্যগুলোতে এএফডির সমর্থন বেশি দেখা যায়।

 

অভিবাসনবিরোধী এএফডি দলটি জাতীয় পর্যায়ে এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠেছে।

 
তাদের চেয়ে পেছনে আছে জার্মানির জোট সরকারে থাকা তিন দল—এসপিডি, সবুজ দল ও এফডিপি। গত জুন ও জুলাই মাসে দুটি স্থানীয় নির্বাচনে এএফডির জয় বিশ্ব গণমাধ্যমের দৃষ্টি কেড়েছিল।

 

বাভারিয়া ও হেসে রাজ্যে নির্বাচনের আগে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে অভিবাসন ও অর্থনীতি। কারণ জার্মানিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা প্রায় ২০১৫ সালের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে। তাই অনলাইনে জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা সিভেইয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৮৬ শতাংশ জার্মান অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত বলে জানিয়েছেন।

 
বছরখানেক আগে সংখ্যাটি ছিল ৬৭ শতাংশ।

 

এ ছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর জ্বালানি সংকট মোকাবেলাসহ অন্যান্য কারণে জার্মানির অর্থনীতি এখন মন্দায় আছে। তাই এই বিষয়টিও রাজ্য নির্বাচনের আগে আলোচিত হচ্ছে।  

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজা গত ২৭ সেপ্টেম্বর বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন কমাতে জার্মানির সঙ্গে পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হবে। এটি অবিলম্বে শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

অভিবাসন বিষয়ক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দুই রাজ্য নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস শনিবার বলেছেন, ‘বর্তমানে জার্মানিতে আসার চেষ্টা করা শরণার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এভাবে চলতে পারে না।’