NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গত সাত মাসে যে কাজ হয়েছে ৭ বছরেও তা হয়নি মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা ঝুঁকিতে ফেলেছে অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্পের কাছে এবার অপমানিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯৩, পশ্চিম তীরে কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে গুলি যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব ছাড়ার পেছনে কোনো ইস্যু নেই: উপদেষ্টা ভারতের বিধি-নিষেধ আমাদের জন্য আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ : আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের করছাড়: বাজেট বিপর্যয়ের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি সেটেলারদের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে শিশুরা, চাপ বাড়লেও থামছে না ইসরায়েল
Logo
logo

প্রধানমন্ত্রীর বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন মির্জা ফখরুল : ওবায়দুল কাদের


খবর   প্রকাশিত:  ২৫ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন মির্জা ফখরুল : ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে দেশের প্রতিষ্ঠিত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের দেওয়া দায়িত্বহীন বক্তব্য ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০৮ সালে শেখ হাসিনা কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন না এবং তার বিদেশ গমনে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। শেখ হাসিনা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তার বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।’

 

তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে তার সাজা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে আদালতের শরণাপন্ন হতেই হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারাধীন এবং এ বিষয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত বিষয়ে লজ্জাহীনভাবে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি এবং বিএনপি তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও ক্রমাগতভাবে সীমাহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার উদারতাকে বিএনপি মহাসচিব শুধু অসম্মানই করেনি, গোটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত উস্কানিমূলক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আইন, বিচার প্রক্রিয়া ও সংবিধান সম্পর্কে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছে। বিএনপি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জলঘোলা করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’

‘প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং প্রতিপক্ষকে হত্যা করার মতো নিকৃষ্ট মানসিকতা ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপির মতাদর্শ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। বরং তিনি বারবার বিএনপির প্রতিহিংসা ও আক্রোশের রাজনীতির শিকার হয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুকন্যাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে গেলে বাসার প্রবেশ পথে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে নিজ বাড়িতে অবস্থান ও উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। এমন মানবিকতার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে দ্বিতীয় আরেকটি নেই।’