NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ঢাকায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘হুঁশিয়ারি’, কড়া জবাব দিল যুক্তরাষ্ট্র


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৬:৩২ এএম

ঢাকায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘হুঁশিয়ারি’, কড়া জবাব দিল যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: জি-২০ সম্মেলনের ঠিক আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বাংলাদেশ সফর করেছেন। সফরকালে ল্যাভরভের দেওয়া একটি বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এটি সেই দেশ যারা তার দুই প্রতিবেশীকে আক্রমণ করেছে, একটি আগ্রাসী যুদ্ধ করছে। যেখানে তারা প্রতিদিন স্কুল, হাসপাতাল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বোমা বর্ষণ করে। তাদের অন্য কোনও দেশের হুকুম আরোপের বিষয়ে কথা বলা উচিৎ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা সফরকালে ল্যাভরভের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ কথা বলেন ম্যাথিউ মিলার।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ঢাকায় বলেন, মস্কো এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশ ও হস্তক্ষেপ প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে। ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন কারণ তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির নাম দিয়ে এখানে এসে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সম্পর্কে আপনার অবস্থান কী?

প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, রাশিয়ার ব্যাপারে আমি বলবো, এটি সের্গেই ল্যাভরভের করা সবচেয়ে স্ব-সচেতন মন্তব্য নয়। মার্কিন নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলবো, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত, উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও স্থিতিস্থাপক নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ একটি দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। এটাই আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের উদ্দেশ্য এবং এটাই আমাদের অবস্থান।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়- জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জো বাইডেনের মধ্যকার সাইডলাইন মিটিং হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাইডেনের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ভালো আলোচনা হয়েছে। যদিও আমরা হোয়াইট হাউজ বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে কোনো রিডআউট বা কিছু দেখতে পাইনি?

জবাবে মিলার বলেন, আমি বিশ্বাস করি হোয়াইট হাউজ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠকগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে।

বাংলাদশের দুই সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বেশ কয়েকবার বলেছি, যে কোনো গণতন্ত্রে সাংবাদিকরা অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। সাংবাদিকদের কাজ দুর্নীতি উন্মোচন করে জনগণের তথ্য জানার অধিকার রক্ষা করে তাদের জীবনকে প্রভাবিত করা। তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয়, সে সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে সক্ষম হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, নির্বাচিত কর্মকর্তাদের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যেভাবে আপনারা সবাই এখানে উপস্থিত হন। আমি এখানে প্রতিদিন যা বলি তার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। হয়রানি, সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শনের ভয় ছাড়াই তাদের কাজ করতে সক্ষম হতে হবে। আমরা সাংবাদিক ও মিডিয়া-ব্যক্তিদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নিয়মতান্ত্রিক ও ব্যাপক নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন, যারা সরকারকে জবাবদিহিকরার চেষ্টা করে।