NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

যুক্তরাজ্যে স্ত্রীর ‘জন্মদিনের ভ্রমণে’ দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পরিবারের ৩ সদস্য নিহত


খবর   প্রকাশিত:  ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৩:৫৪ এএম

যুক্তরাজ্যে স্ত্রীর ‘জন্মদিনের ভ্রমণে’ দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পরিবারের ৩ সদস্য নিহত

স্ত্রীর জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশি আলমগীর বার্মিংহাম থেকে পারিবারকে নিয়ে গিয়েছিলেন লেইস্টারে। সেখান থেকে ফেরার সময় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ছাড়া তিনিসহ দুই সন্তান নিহত হয়েছেন। এমনকি স্ত্রীর গর্ভে থাকা ২০ সপ্তাহের সন্তানও মারা গেছে।

শুক্রবার বিকাল ৪টা ২৪ মিনিটের সময় লেস্টার ও নানিটনের মধ্যবর্তী হিঙ্কলি বারবেজ এলাকায় পণ্যবাহী একটি লরির সাথে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই আশপাশের লোকজন পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ইস্ট মিডল্যান্ডস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, লেস্টারশায়ার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস ও লেস্টারশায়ার পুলিশ।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন আলমগীর হোসেন সাজু (৩৬), তার দুই শিশু সন্তান জাকির হোসেন (৯) ও মাইরা হোসেন (৪)। এছাড়া মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে কোমায় ছিলেন দুই শিশুর মা। তিনি গর্ভবতী ছিলেন। গর্ভে থাকা ২০ মাসের সন্তানও মারা গেছে। 

 

আলমগীরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে। বার্মিংহাম শহরের নিকটবর্তী ওয়ালসালের প্লেক শেরিডান স্ট্রিটের বাসিন্দা আলমগীর একজন ব্যবসায়ী। তার বাবার নাম আবদুল কালাম।

আলমগীরের দাদার বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে। তার দাদার নাম আকরাম উল্লাহ।

নিহত আলমগীরের চাচা ফরিদ জানান, শুক্রবার পরিবার নিয়ে একটি ডে ট্রিপে তারা লেস্টার গিয়েছিলেন। ফেরার পথে হিঙ্কলী এলাকায় একটি লরির সাথে সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের বহনকারী সিলভার কালারের বিএমডব্লিউ কারটি সম্পূর্ণ ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকের আসনে থাকা আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালের নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে চার বছরের মাইরা হোসেন।

এদিকে দুই সন্তানসহ তরুণ ব্যবসায়ী আলমগীরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওয়ালসালে। পারিবারিকভাবে অত্যন্ত সুপরিচিত হওয়ায় ওয়ালসালে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ এশিয়ান কমিউনিটিতে বিরাজ করছে শোকের পরিবেশ।

এই গুরুতর সংঘর্ষ তদন্ত ইউনিটের গোয়েন্দা কনস্টেবল আনা অ্যান্ড্রু সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। যারা তাদের জীবন হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সহানুভূতি প্রকাশ করছি। আমরা নিহতদের পরিবারকে পূর্ণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখব এবং সংঘর্ষের তদন্তের জন্য যা ঘটেছে তার সম্পূর্ণ পরিস্থিতি অনুসন্ধান করব। পাশাপাশি এমন মর্মান্তিক ও যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে যারা সাহায্যের জন্য সাড়া দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’