খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:৪৫ এএম
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর আদেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এজলাস কক্ষে হট্টগোল ইস্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাজনীতির কারণে আদালতকে কলুষিত করা ঠিক হবে না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি সব পক্ষের কাছে আবেদন করি, আদালতের মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ন না করেন। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে আদালত থাকবে। আমরা আইনজীবীরা অফিসার অব দ্য কোর্ট।
সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, এটি চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনের মতামত নেওয়া হবে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। আইনটি যেন সংসদে যেতে পারে, সে জন্য মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনকে ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনে চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধারায় শাস্তিও কমানো হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলো সাইবার আইনে পরিচালিত হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলবৎ থাকার সময় অপরাধ করলে সেই আইন অনুসারে সাজা হবে। তবে আগের আইনে মামলা হলেও বর্তমান সাইবার আইন অনুসারে কীভাবে সাজা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে যেহেতু সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে, সে কারণে খাদিজার মামলা যখন আপিল বিভাগে উঠবে, তখন তিনি বর্তমান আইন অনুসারে সাজা কমানোর আবেদন করতে পারবেন।
সোমবার সকালে তারেক রহমানের সম্প্রতি দেওয়া সব বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অবিলম্বে ব্লক, অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটিকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশকে কেন্দ্র করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হট্টগোল করলে একপর্যায়ে দুই বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান।