NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

গ্রেনেড হামলায় দায়ী খালেদা-তারেক : তথ্যমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৫:৫৯ এএম

গ্রেনেড হামলায় দায়ী খালেদা-তারেক : তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ও খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।’ 


আজ রবিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রক্তাক্ত ২১ আগস্ট বিএনপির পূর্বপরিকল্পনা বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘আমরা প্রথমে মুক্তাঙ্গনে শান্তি সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু সেখানে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে ২০ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের অফিসের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এটা মূলত বিএনপির পরিকল্পনার অংশ। কারণ মুক্তাঙ্গন ছিল খোলামেলা জায়গা।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ খোলামেলা নয়, গ্রেনেড ছোড়া সহজ ছিল। তা না হলে কেন মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো না? কেন সে সমাবেশে পুলিশ দেওয়া হলো না। হামলার পর নেতাকর্মীরা যখন এগিয়ে আসে, তখন তাদের ওপর টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়, পানি দিয়ে এভিডেন্স ধুয়ে ফেলা হয়।’

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হামলার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়; মোসাদ নাকি এসে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপর তো জজ মিয়া নাটক করা হলো।’

 

তিনি বলেন, ‘বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে চলে ও বিশ্বাস করে। তারা এখন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এই হাতে-পায়ে ধরে আর লাভ নাই, কয়েকটা বিবৃতি দিয়ে কিছু হবে না।

হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে সরে আসুন।’ 

 

তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষমতায় কে থাকবে, কে থাকবে না তার সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ। আঘাত পেলে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হয়, ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা ভাঙব, কিন্তু মচকাব না।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর যে বর্বর হামলা চালানো হয়েছিল সে হামলা ৭১-এর হানাদারের বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্র গাঁথা। এই মাস বেদনার মাস, চক্রান্তের মাস। দেশকে অকার্যকর করার লক্ষ্যেই সেদিন শেখ হাসিনার ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘দেশ রক্ষায় আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে, সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। আমরা যদি এক থাকি, তাহলে কেউ কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ।’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসিমা ফেরদৌসী প্রমুখ।