NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ ১৪ বছরের সূর্যবংশীর দানবীয় সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয় রাজস্থানের নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনে ‘লাব্বাইক’ অ্যাপ বড় ভূমিকা রাখবে - প্রধান উপদেষ্টা ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের হাসিনাকে ‌‘চুপ’ রাখতে বলেন ড. ইউনূস, মোদী জানান পারবেন না নারী বিবেচনায় জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
Logo
logo

বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু : স্পিকার


খবর   প্রকাশিত:  ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৯:৪৭ এএম

বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু : স্পিকার

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। বঙ্গবন্ধুর ছিল এদেশের প্রতি গভীর দেশপ্রেম ও বাঙালির প্রতি অসীম ভালোবাসা। বাংলা ও বাঙালির প্রতি অক্ষয় ভালোবাসাই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে অর্থবহ করে তুলেছিল।’ 

আজ সোমবার রাজধানীতে ঢাকা ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ‘তোমার স্মরণে নমিত পতাকা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি আশরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী এবং সম্মানিত আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বক্তব্য দেন। 

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বক্তব্য দেন।  

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু, যিনি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও নিজ আদর্শে অবিচল থেকেছেন। ‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই’ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়েই বাংলার আপামর জনগণ এক হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।  

স্পিকার বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিন বঙ্গবন্ধু সংবিধান রচনার কাজ হাতে নিয়েছিলেন এবং নয় মাসের মধ্যে বাঙালিকে তাদের নিজস্ব সংবিধান দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘মুজিব মানেই মুক্তি, মুজিব মানেই স্বাধীনতা।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা, বঞ্চিত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতামুক্ত বাঙালি
জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্পিকার বলেন, যতদিন বাংলা ও বাঙালি থাকবে, ততদিন কোটি বাঙালির হৃদয়ে প্রোথিত থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম।

বঙ্গবন্ধুর স্মরণে এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এমপি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফুল আলম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠ সৈনিক ও দেশ বরেণ্য শিল্পী রফিকুল আলমসহ অন্য শিল্পীরা কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন। 

এসময় স্পিকার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান। এ আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। 

ঢাকা ক্লাবের সংসদসহ এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।