NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

কম্বোডিয়া: হুন সেনের ছেলেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন


খবর   প্রকাশিত:  ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:২৩ এএম

কম্বোডিয়া: হুন সেনের ছেলেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় চার দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা হুন সেনের ছেলে হুন মানেটকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ‘নিয়োগ’ দিয়েছেন রাজা নরোদম সিহামনি। তবে তার আগে মানেটকে সংসদে আস্থা ভোটে জিততে হবে।

মানেটকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে রাজার ডিক্রি জারির খবর হুন সেন তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন।

সাবেক খেমার রুজ নেতা হুন সেন ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়া শাসন করেছেন। গতমাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়ে বড় ছেলের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই নির্বাচনে হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি সংসদের নিম্নকক্ষের ১২৫টি আসনের মধ্যে ১২০টি আসনে জয়লাভ করে।

বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। পশ্চিমা বিশ্ব এই নির্বাচনকে প্রতারণা বলে উল্লেখ করেছে।

নির্বাচন শেষে কম্বোডিয়ায় কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, কম্বোডিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দলের কোনো শক্ত বিরোধী দল নির্বাচনে ছিল না।

ক্ষমতায় থাকাকালে হুন সেন বিরোধী দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন এমন ব্যক্তিদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছেন এবং বাকস্বাধীনতা খর্ব করেছেন।

তার ছেলে মানেট একজন সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দেশটির কাউন্টারটেররিজম বিভাগের প্রধান। গত মাসের নির্বাচনে তিনি একটি আসনে জয়ী হয়েছেন। ৪৫ বছর বয়সী মানেট যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তরুণ বয়সটা তিনি বিদেশেই কাটিয়েছেন।

তবে পশ্চিমে বেড়ে উঠলেও দেশ শাসনের সময় তিনি পশ্চিমা ধারার দিকে ঝুঁকবেন বলে বিশ্লেষকেরা আশা করছেন না। এছাড়া তার বাবা রাজনীতি থেকে সরে গেলেও প্রয়োজনে প্রভাব খাটাবেন বলে জানিয়েছেন।