NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

গাম্বিয়ায় ভারতীয় সিরাপেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ শিশুর


খবর   প্রকাশিত:  ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:৫০ এএম

গাম্বিয়ায় ভারতীয় সিরাপেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ শিশুর

আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় গত বছর কাশির সিরাপ খাওয়ার পর মৃত্যু হয় কয়েকটি শিশুর। ওই সময় অভিযোগ করা হয় ভারত থেকে আমদানিকৃত সিরাপে প্রাণ গেছে তাদের। এমন গুরুতর অভিযোগের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেশটির সরকার।

সরকার গঠিত সেই তদন্ত কমিটি শুক্রবার (২১ জুলাই) জানিয়েছে, ভারতীয় কোম্পানির উৎপাদিত চারটি সিরাপ খাওয়ার পরই কিডনি বিকল হয়ে অন্তত ৭০ শিশু মারা গেছে।

গাম্বিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার আহামাদু লামিন সামাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই সিরাপগুলো আমদানির ক্ষেত্রে— পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে শুরু করে সবকিছুতে ত্রুটি ছিল। এমনকি এগুলো তাদের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থায় (এমসিএ) নিবন্ধিতও ছিল না।

শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এমসিএ-র প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া ওষুধগুলোর ঝুঁকি যাচাই-বাছাই না করে আমদানি অনুমতি দেওয়ায় তত্ত্বাবধানকারী ফার্মাসিস্টের ওপর দায় চাপিয়েছেন তিনি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে। এরপর দেশটির সরকার কয়েকটি কাশির সিরাপ ও ঠান্ডার ওষুধ পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। যেটির মধ্যে ছিল ভারতের মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের পণ্য। এ প্রতিষ্ঠানটিই এই ভেজাল সিরাপ তৈরি করেছিল।

পরবর্তীতে গাম্বিয়া ভারতের সব ওষুধ পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ওই সিরাপগুলোতে ‘অগ্রহণযোগ্য পরিমাণ’ ডাইথেলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলেন গ্লাইকোল মেশানো হয়েছিল। এগুলো জমাটবিরোধী পদার্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর এই বিষাক্ত পণ্য কেউ পান করলে বা খেলে তা জীবনহানিকর হতে পারে।

গাম্বিয়ার তদন্তকারী দল দেশটিতে একটি কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি স্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছে। যেন বাইরের দেশ থেকে আসা ওষুধ পণ্য পরীক্ষা করে এরপর বাজারে ছাড়া যায়।