খবর প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:২৮ পিএম
চাঁদে সফলভাবে অবতরণের লক্ষ্যে শিগগিরই চন্দ্রায়ণ-৩ বহনকারী রকেট উৎক্ষেপণ চলেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)। এটিই ভারতের হেভিয়েস্ট স্যাটেলাইট বা চন্দ্রযান বহনকারী মহাকাশযান। তৈরি করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। আগামী ১৩ জুলাই এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। উৎক্ষেপণের পর চাঁদে চন্দ্রায়ণ-৩ এর সফট ল্যান্ডিং ঘটবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
যে-মুহূর্তে রকেটটি চন্দ্রযানটিকে পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে, সেই মুহূর্তেই তৈরি হবে ইতিহাস। বিশ্বে রেকর্ড গড়বে ভারত। সাফল্যের মুকুটে আর একটি পালক পরবে ইসরো।
চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগে মহাকাশযান ধারণকারী পেলোড ফেয়ারিংকে জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি’র সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে ইসরো। ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটের সঙ্গে পেলোড ফেয়ারিংয়ের জুড়ে দেওয়ার কাজটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই করা হয়।
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ১২ জুলাই থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে দিনগুলোকেই উৎক্ষেপণের কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, অরবিটাল ডায়নামিকস অনুসারে, চাঁদে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে যানটির এই সময়েই সবচেয়ে কম জ্বালানি (মিনিমাল ফুয়েল) লাগবে এবং এর কর্মক্ষমতাও থাকবে চূড়ান্ত (হায়ার ইফিসিয়েন্সি)।
অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই প্রকল্প নিয়ে ইসরো খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রায়ণ-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে ‘ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস’ চালাবে। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু-অঞ্চলে ঘোরাফেরা করবে।
চন্দ্রায়ণ-৩ এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে যান নামিয়ে চাঁদ-চর্চা শুরু করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড করে ফেলবে ভারত। এই বিরল কাজটি সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হতে চলেছে ভারত।
এর আগে ২০১৯ সালেও চাঁদে যান পাঠিয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইসরো। তবে সেবার চন্দ্রযান ‘বিক্রম’র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে সেই অভিযান ব্যর্থ হয়।