খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৮:২৩ এএম
কানাডার ক্যালগেরির সাইমন ভ্যালী কমিউনিটি সেন্টারে ভারতের স্বনামধন্য শিল্পী অলক রায় চৌধুরীর "এত সুর আর এত গান'' শীর্ষক একক সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর ছিল প্রেইরি ওয়েস্টার্ন কলেজ এবং রিয়েলটর ইকবাল রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আয়োজক খয়ের খোন্দকার রুবেল, সাজিয়া তাসনীম এবং ইকবাল রহমান। তবলায় সহযোগিতা করেন শুভময় দাসগুপ্ত ।
মেঘেরও খেলা----''এক তাজমহল গড়ো, হ্রদয়ে তোমার আমি' 'আমি কান পেতে রই' 'ও দয়াল বিচার করো'' মুছে যাওয়া দিনগুলো আমায় যে পিছু ডাকে' 'আকাশ প্রদীপ জ্বলে'সহ বিভিন্ন ধরনের হারানো দিনের গান গেয়ে দর্শকদের পিন পতন নীরবতায় মুগ্ধ করে রাখেন শিল্পী অলক রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সত্তরোত্তীর্ণ শ্রোতার পাশাপাশি যুবক-যুবতীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আয়োজক খয়ের খোন্দকার রুবেল জানান, যান্ত্রিকতাময় প্রবাস জীবন থেকে বেরিয়ে এসে কিছুটা সময় হলেও মনের খোরাক ও আনন্দ দেবার জন্যই এই এই উদ্যোগ। তিনি উপস্থিত সকল দর্শক, শ্রোতা কে অভিনন্দন জানিয়ে 'এত সুর আর এত গান শীর্ষক' সংগীত সন্ধ্যা কে সফল করে তোলার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
টাইটেল স্পন্সর 'প্রেইরি ওয়েস্টার্ন কলেজ'এর সাজিয়া তাসনিম এ ধরনের উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমাদের বাংলা সংস্কৃতিকে প্রবাসে উজ্জীবিত করতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। তিনি শিল্পী অলক রায় চৌধুরীর প্রতি বিনম্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আগত দর্শকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম স্পন্সর ইকবাল রহমান বলেন, আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতির বলয়। আর এ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির পক্ষ থেকে সভাপতি কয়েস চৌধুরী উপস্থিত সকল দর্শক শ্রোতাদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি, শিল্পী অলক রায় চৌধুরীর প্রতি বিনম্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতা কলামিস্ট ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মাহমুদ হাসান জানান, খয়ের খোন্দকার রুবেল একজন ব্যতিক্রমী সংগঠক। সতীর্থ সহযোগীদের নিয়ে তার প্রতিটি আয়োজনে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতির সৃজনশীলতা দর্শক, শ্রোতাদের হৃদয়, মনে এক ভিন্ন রকম ভালো লাগা ও ব্যাতিক্রমী অনুভূতির জাগরণ তৈরি করে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ইকবাল রহমান আর প্রেয়ারী ওয়েস্টার্ন কলেজের পৃষ্ঠপোষকাতায় অলক রায় চৌধুরীর গানে গানে আজকের সংগীত সন্ধ্যাটি আমাদেরকে যেন চিরচেনায় সেই বাংলায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।