NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ১৭, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান নতুন অধিনায়ক নিয়ে অন্যরকম শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ ট্রাম্প আলফা মেল হলে মোদি ওর বাবা : কঙ্গনা মায়ানমারে নিযুক্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা আফতাব প্রত্যাহার ঈদে সব পশুর হাটে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মাউন্ট এভারেস্টে দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু, একজন ভারতীয় এবার আমিরাতের সঙ্গে ২০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করলেন ট্রাম্প
Logo
logo

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রবিবার (২৫ জুন) চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের এই রায় হলো।

এর আগে, চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১১ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

এরপর ২১ জুন রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

 

২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

আসামিরা হলেন, মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। এদের মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকি চারজন ছিলেন পলাতক। এর মধ্যে আবার নওশের বিশ্বাস মারা যান।
ফলে এখন আসামি চারজন।

 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন আমজাদ।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। 

 

২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়। যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা। একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা। গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা। এছাড়া মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।