NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

অস্ট্রিয়া দূতাবাসের আয়োজনে বাংলা নতুন বছর বরণ


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৮:১০ এএম

>
অস্ট্রিয়া দূতাবাসের আয়োজনে বাংলা নতুন বছর বরণ

উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে  অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন করা হয়েছে।  

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, ছাত্রসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা  অনুষ্ঠানে অংশ নেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং তার সহধর্মিনী রুবী পারভীন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন বাংলা বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব।বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক এদেশের বাঙালি জনগোষ্ঠী।  

 

সারা বছরের ক্লেদ-গ্লানি, হতাশা ভুলে এদিন সব বাঙালি নতুন আনন্দ-উদ্দীপনায় মেতে ওঠেন। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য নতুন বছর কল্যাণকর হবে বলে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মুহিত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদাত্ত আহ্বান জানান।  

বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসব ও মেহেদী উৎসব।  

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটির সম্মিলিত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। সাংস্কৃতিক উৎসবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।  

প্রবাসীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা-পুলির পসরা সাজিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে দূতাবাসের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ ইলিশ মাছ সহ বিভিন্ন পদের স্বদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।  

পাজামা-পাঞ্জাবি, লাল-সাদা বাসন্তি রঙের শাড়িতে এদিন ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে উৎসবমুখর ও রঙিন। বাংলা বর্ষবরণের এই উৎসব ইউরোপের বুকে এ যেন আনন্দমুখর এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর অস্ট্রিয়া, (রোজার জন্য ১৪ই এপ্রিল নববর্ষ পালন করা সম্ভব হয়নি) হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ দিনটি কাটান সম্পূর্ণ দেশীয় আমেজে।