NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

উৎসবের রঙে রঙিন নিউ জারসির গ্যালাওয়ে টাউনশীপ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:২১ এএম

উৎসবের রঙে রঙিন নিউ জারসির গ্যালাওয়ে টাউনশীপ

উৎসবে অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন নিউ জারসি রাজ্যের এসেম্বলিম্যান ডন গার্ডিয়ান, আটলানটিক কাউন্টির শেরিফ এরিক শেফলার, গ্যালাওয়ের কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ ঊমর, আটলানটিক সিটির কাউন্সিলম্যান আনজুম জিয়া, আটলানটিক সিটি স্কুল বোর্ডের সদস্য সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জারসির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুল, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গিয়াসউদদীন পাঠান প্রমুখ ।

ওইদিন সকাল এগারোটার পর বিভিন্ন বয়সী প্রবাসীরা রং বেরংয়ের ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে। বিশেষ করে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে উৎসবে অংশগ্রহনকারীরা মেতে ওঠে রং খেলায়। তারা গানের সুর মূর্ছণায় অবগাহন করে একে অপরকে হরেক রঙে রাঙিয়ে দেয়, উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে সবার মনপ্রাণ আবালবৃদ্ধবনিতা এই রং খেলার উৎসবে সামিল হয়। অন্যান্য দেশের অভিবাসীরাও উৎসবের রেণু গায়ে মাখতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেতে ওঠে রংয়ের খেলায়, আর তা উৎসবে ভিন্ন এক মাত্রা এনে দেয়।

রংয়ের উৎসবে প্রবাস প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।তারা সর্বক্ষণ একে অপরের গায়ে রং মেখে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে । কেউ কেউ আবার রং গুলে বন্দুক- পিচকারি দিয়ে সোৎসাহে রং ছেটাতে থাকে। রং গুলা জল ফুরিয়ে যেতেই আবার বন্দুক- পিচকারি ভর্তি করে শিশু- কিশোরদের ছোটাছুটি দেখে অনেক বয়স্ক প্রবাসী নষ্টালজিক হয়ে পড়ে, স্মৃতির জাবর কাটতে থাকে ছোটবেলার হোলি উৎসবের দিনগুলোর।মনের অজান্তেই কেউ কেউ গুনগুন করে সুর ভাঁজে – ‘রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাও যাও যাওগো এবার যাবার আগে তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে/ তোমার তরুণ হাসির অরুণ রাগে/ অশ্রুজলের করুণ রাগে…….।’

উৎসবে অংশগ্রহনকারী শ্বেতাঙ্গিনী কলেজ ছাত্রী এঞ্জেলিনা সারা গালে রং মেখে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি রঙের প্রলেপে ঢেকে যায় মনের মলিনতা, আর তাই মনের মলিনতা ঢাকতেই আমি রংয়ের খেলায় মেতে উঠেছি’।

দিবাকর পশ্চিমাকাশে হেলে পড়তেই সাঙ্গ হয় রং খেলা, এই রং খেলার আনন্দ রেণু গায়ে মেখে প্রবাসী হিন্দুরা গুনগুন করে কবিগুরুর গানের কলি ভাঁজতে ভাঁজতে ফিরে যায় আপনালয়ে।