আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত একটি টুইট করেছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল, সম্প্রতি তিন বিক্ষোভকারীকে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া দিয়েছে ইরান, তা মেনে নেওয়া যায় না। মৃত্যুদণ্ড বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু ইরান বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।

ইরান জানিয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়া এবং শাস্তি ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই। এই কারণেই সুইস রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান। রবিবার রাষ্ট্রদূত দেখাও করতে গিয়েছিলেন।
 

 

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, শুধু টুইটের বয়ান নয়, ইরানের যে পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে ওই টুইটে, সেটিও ভুল। পুরনো সময়ের পতাকার ছবি ব্যবহার করেছে সুইস দূতাবাস। ইরানে দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। ১৬ বছরের এক কুর্দ নারীর মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ঠিকমতো পোশাক পরেননি, এই অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এরপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরান। রাস্তায় রাস্তায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। বহু তারকাও এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
সরকার কঠোর হাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরই তিনজনকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হলো।

 

এদিকে ইরান জানিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তিকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে কারণ, তারা তিনজনই ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। ইরান কোনোভাবেই এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করবে না।

সূত্র : ডয়চে ভেলে