আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: জি-৭ সম্মেলনের শেষ দিন জয় করে নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। অধিবেশনে অংশ নেওয়া দেশগুলো আবার জানিয়ে দিল, ইউক্রেনকে সব রকম সাহায্য করা হবে। ইউক্রেন জি-৭-এর অংশ না হয়েও যুদ্ধের কারণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাকি রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো পোশাকে নয়, সামরিক শার্ট পরেই এদিনের অধিবেশনে অংশ নেন তিনি।
তিনি বলেন ‘ঐতিহাসিক হিরোশিমায় দাঁড়িয়ে যুদ্ধে সম্পূর্ণ ধসে যাওয়া বাখমুত শহরের কথা মনে পড়ছে। ওই শহরের মানুষের কথা মনে পড়ছে।’ আরো বলেন, বাখমুত শহরে আর একটি বাড়িও দাঁড়িয়ে নেই।
বিশ্বের কাছে আরো একবার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সকলের কাছে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জেলেনস্কির মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছে। অধিবেশনের বাইরে দুই নেতা বৈঠক করেছেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষ নেয়নি। মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রেখেছে। জাতিসংঘে যুদ্ধসংক্রান্ত সমস্ত ভোট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে। এই প্রথম সরাসরি মোদি ইউক্রেনকে সমর্থনের কথা বললেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী এদিন বক্তৃতা করতে উঠে জানিয়েছেন, পরমাণু যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কোনো দেশই জয়ী হতে পারে না। তাই ইউক্রেন যুদ্ধ যেন কোনোভাবেই সে পথে না হাঁটে। হিরোশিমা এবং নাগাসাকির উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। জাপানি সাংবাদিকদের বক্তব্য, এই সম্মেলন করে দেশের প্রধানমন্ত্রী মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন। যেভাবে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা জাপানের মানুষ ভালো চোখে দেখেছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে