আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: অষ্টমবারের মতো কিয়েভে হামলা চালালো রাশিয়া। রুশ বাহিনীর ভারী বিমান হামলায় তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভিডিওতে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শহরের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। দেশটির সরকার বেসামরিক মানুষদের জানালার পাশ থেকে দূরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়। যেহেতু ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ আকাশ থেকে নিচে পড়েছিল।
শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শহরের চিড়িয়াখানাসহ কেন্দ্রীয় জেলাগুলোর ওপর রকেটের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়েছে। বিমান হামলার সতর্কতা দেওয়ার দুই ঘণ্টা পর তা তুলে নেওয়া হয়। রুশ বাহিনী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উভয়ই ব্যবহার করে। এই হামলা প্রসঙ্গে কিয়েভের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি ব্যতিক্রমী।’ ইউক্রেনের রাজধানীর সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো ব্যারেজটিকে এটিকে ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, কিয়েভের আকাশসীমায় শত্রুর লক্ষ্যবস্তুগুলো বেশির ভাগই শনাক্ত এবং ধ্বংস করা হয়েছে।’
গত কয়েক দিন ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় সফরে রয়েছেন। যেখানে তাকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ পশ্চিমা মিত্ররা কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ এবং যোদ্ধা নিহত বা আহত হয়েছেন। যুদ্ধে ইউক্রেনের শহরগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায় ৮.২ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় ইউরোপে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে, যার মধ্যে ২.৮ মিলিয়ন রাশিয়ায় চলে গেছে।
সূত্র : বিবিসি