আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনারকে রাশিয়ার জেলে গিয়ে দেখে এসেছেন মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। মস্কোর মার্কিন দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা তাকে জেলে দেখতে গিয়েছিলেন। ব্রিটনিকে গত মাসে আটক করা হয়। তার অপরাধ তিনি গাঁজার তেল সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরছিলেন, যার ওজন ছিল এক গ্রামেরও কম।

 

গ্রেপ্তারের পর রুশ আদালত তাকে ৯ বছরের সাজা দিয়েছে।

 

ব্রিটনি অবশ্য উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। তার আপিল বাতিল হলেও বিচার পদ্ধতি এখনো পুরো শেষ হয়নি। বিচার শেষ হলে ব্রিটনিকে আরো কঠোর পেনাল কলোনিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটনির সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের দেখা হওয়ার পর জো বাইডেনের কার্যালয় থেকে টুইট করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বলেছে, অন্যায়ভাবে ব্রিটনিকে আটক করা হয়েছে। আগস্টে গ্রেপ্তারের পর থেকেই ব্রিটনিকে মুক্ত করার নানা পদ্ধতি দেখতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি বন্দি বিনিময়ের ভাবনা-চিন্তাও শুরু হয়েছে। ব্রিটনির বদলে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি ভিক্টর বউটকে ছেড়ে দিতে পারে মার্কিন প্রশাসন। রাশিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কথা শুরু হয়েছে। বেআইনি অস্ত্র বিক্রেতা ভিক্টর রাশিয়ায় বেশ প্রভাবশালী। যুক্তরাষ্ট্রে ধরা পড়ার পর তিনি ২৫ বছরের শাস্তি ভোগ করছেন।

তবে কেবল ব্রিটনি নয়, যুক্তরাষ্ট্র ভিক্টরের বদলে আরো এক মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরাতে চায়। আর তিনি হচ্ছেন সাবেক মার্কিন সেনা পল ওয়েলান। তথ্যপাচারের অপরাধে তাকে ১৬ বছরের শাস্তি দিয়েছে রাশিয়া। তাই পলও রাশিয়ার জেলে বন্দি রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ভিক্টরের বদলে ব্রিটনি এবং পলকে দেশে ফেরাতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটনির সঙ্গে দেখা করার পর ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি নেড প্রাইস বলেছেন, ‘ব্রিটনি সুস্থ আছেন। নিজেকে শক্ত রেখেছেন। আমরা তাকে আশ্বাস দিয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ’ 

বাইডেন প্রশাসন প্রথম থেকেই ব্রিটনির গ্রেপ্তার নিয়ে সরব। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ ভুল কারণে ব্রিটনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও আমেরিকার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় রাশিয়া। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস