মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশসমূহের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। আমেরিকার এই দুই অঞ্চলভুক্ত অধিকাংশ দেশের সরকার তাদের সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে শুরু হয়েছে মধ্য ও দক্ষিন আমেরিকাভূক্ত দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট সামিট অব আমেরিকাসের বৈঠক। বৈঠকের উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য দেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ দিন দিন সংবাদমাধ্যমের প্রতি বৈরী হয়ে উঠছে। বর্তমানে আমেরিকার এই অংশটি সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।’
গত সপ্তাহে আমাজন বনাঞ্চল এলাকা সক্রিয় বিভিন্ন অপরাধী চক্র নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজে ব্রাজিলের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে নিখোঁজ হন যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডম ফিলিপস ও তার স্থানীয় গাইড ব্রুনো পেরেইরা। এখনও তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
মঙ্গলবারের বক্তব্যে ঘটনাটি উল্লেখ করে ব্লিনকেন বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অসংখ্য যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেসবের মধ্যে ব্রাজিলেরটি সর্বশেষ। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ যারা হামলার সঙ্গে যুক্ত— তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ তেমনভাবে দেখা যায় না এসব দেশে।’
‘উদাসীনতা ও অঘোষিত দায়মুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের সরকার।’
উদ্বোধনী বক্তব্যের ব্লিনকেন আরও বলেন, লাতিন আমেরিকার কিউবা, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক শাসন না থাকায় এ তিন দেশকে সামিট অব আমেরিকাস থেকে বের করে দেওয়ার সংকেত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া এই তিন দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।