বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীর সাবেক পাইলটদের নিয়োগ দিচ্ছে চীন। এরই মধ্যে নাকি প্রায় ৩০ জন পাইলট চীনের সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পাইলটদের নিয়োগের এ তথ্য হাতে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সাবধান করতে গোয়েন্দা সতর্কতা জারি করতে যাচ্ছে লন্ডন।

 

সাবেক পাইলটদের যে পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই আকর্ষণীয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিমা এক কর্মকর্তা। তার ধারণা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থ একটি শক্তিশালী প্রণোদনা হিসেবে কাজ করছে।

চীন ব্রিটিশ পাইলটদের কী ধরনের কাজে লাগাচ্ছে, তার একটি ধারণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, কোন কোন আকাশপথ ব্যবহার করে পশ্চিমা সামরিক বিমানগুলো চলাচল করে, তা জানতে ওই পাইলটদের সহায়তা নিচ্ছে চীন। তাইওয়ানসহ যেকোনো ইস্যুতে যুদ্ধ বাধলে এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

পাইলটদের নিয়োগ দেওয়ার এ তথ্য যুক্তরাজ্য প্রথম জানতে পারে ২০১৯ সালে। সে সময় অল্পসংখ্যক পাইলটদের নিয়োগ দিয়েছিলো বেইজিং। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে নিয়োগপ্রক্রিয়ার গতি কমে আসে। কারণ, মহামারির মধ্যে চীনে পাড়ি দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব ছিলো। সম্প্রতি এ নিয়ে চীনের কর্মকাণ্ড জোরদার হলে সতর্ক অবস্থানে যায় যুক্তরাজ্য।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় পশ্চিমা এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত পাইলটদেরও নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে চীন। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, তাদের কেউ বেইজিংয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেননি।

চীন যে পাইলটদের লক্ষ্যবস্তু করেছে, তাদের দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। শুধু রয়্যাল এয়ারফোর্সই নয়, দেশটির অন্যান্য বাহিনী থেকেও পাইলটদের নিয়োগ দিচ্ছে চীন। তাদের টাইফুন, জাগুয়ার, হ্যারিয়ার ও টর্নেডো যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।