গোপনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার তোড়জোড় শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া- এমন সন্দেহ আমেরিকার। জো বাইডেন সরকারের এক কর্মকর্তা আমেরিকায় একটি সংবাদ সংস্থাকে এ খবর দিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ভেতরে আমাদের নজরদারি তেমন জোরালো নয়। সে কারণেই এ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য এখনো আমাদের হাতে আসেনি।

চলতি বছরের শুরুতে উত্তর কোরিয়া ধারাবাহিকভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করার পরই ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে একনায়ক কিম জং উনের ‘পরমাণু পরীক্ষার পরিকল্পনা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৫ সালে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে পুনগেরি এলাকায় খননকার্য আমেরিকার গুপ্তচর উপগ্রহের নজরে এসেছিল। সে সময়ও পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছিল আমেরিকা। এর বছর দেড়েকের মধ্যেই পরমাণু পরীক্ষা করেছিল কিম সরকার।

২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া শেষবার পরমাণু পরীক্ষা করেছিল। আন্তর্জাতিক স্তরে যার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। সম্প্রতি, ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া নিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে একনায়ক কিম নতুন করে পরমাণু পরীক্ষার পথে হাঁটলে, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিন্ন মাত্রা পাবে।

আমেরিকার সামরিক পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’—এর উপদেষ্টা এবং সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ব এশিয়া বিভাগের সাবেক প্রধান ক্রিস জনস্টোনের মতে, ইতোমধ্যেই পরমাণু পরীক্ষা ও অস্ত্র নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে সংগ্রহ করেছে কিম সরকার।