অভিবাসন আইনের বড় সংস্কারের ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের ভিসার নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনেছে। ফলে সেখানে কর্মরত প্রবাসী থেকে শুরু করে বিদেশি পর্যটকদের নতুন নিয়মের আওতায় আসতে হবে।  

চলতি বছরের এপ্রিলে আমিরাতের মন্ত্রিসভা নতুন ভিসা নিয়মের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এরপর ৩ অক্টোবর সোমবার থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে। নতুন ভিসা নিয়ম বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিবাসন ও আবাসিক নীতিতে পরিবর্তন আনা।

আমিরাত সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সুলতান ইউসুফ আল নাউমি বলেছেন যে এই নতুন ভিসা ব্যবস্থা কেবল বিদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি ঝামেলামুক্ত এবং সহজই করবে না, যারা দেশটিতে বসবাস, কাজ চাইছেন, সেই রকম মানুষদেরও সুবিধা দেবে। এটা বিনিয়োগের জন্য আরও ভালো হবে।  

 

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম গ্রিন ভিসার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ভিসা পেলে বিদেশিরা পাঁচ বছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকতে পারবেন, এর জন্য তাদের নাগরিকত্ব নেওয়ার এবং নিয়োগকর্তার সমর্থনের প্রয়োজন নেই। ফ্রিল্যান্সার, দক্ষ কর্মী এবং বিনিয়োগকারীরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। 

গ্রিন ভিসাধারীরা স্ত্রী বা স্বামী, সন্তান, বাবা-মা, বোন বা ভাইকে সঙ্গে রাখতে পারেন। আর কারও যদি ছেলে সন্তান থাকে, তবে সে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত থাকার সুবিধা পেতে পারেন। আগে এই বয়সসীমা ছেলেদের ক্ষেত্রে ছিল ১৮ বছর। একই সঙ্গে, নতুন নিয়মে অবিবাহিত নারী বা প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য কোনো বয়সসীমা রাখা হয়নি। কারও ভিসার মেয়াদ শেষ বা বাতিল হয়ে গেলে তাকে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হবে।
 
গোল্ডেন ভিসায় একবারে ১০ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকতে পারা যায়। বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী বা গবেষক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন।