আল-আকসা চত্বরে প্রার্থনার পর তিন ইহুদি তরুণকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে সফলভাবে চ্যালেঞ্জ জানান তাঁরা। রায়ে আদালত বলেছেন, তাঁদের কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টের পর্যায়ে পড়ে না।
আদালতের এমন আদেশের প্রতিবাদ জানান ফিলিস্তিনিরা। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা। আর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। এমনিতেই ২৯ মে জেরুজালেমে ইসরায়েলি জাতীয়তাবাদীদের পতাকা পদযাত্রা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার জেরুজালেম জেলা আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্র। দিন শেষে অনুকূলে রায় আসে। আদেশে বিচারক এইনাত আভমান-মোলের বলেন, ‘টেম্পল মাউন্টের বিশেষ সংবেদনশীলতা নিয়ে বাড়াবাড়ি হতে পারে না।’ হিব্রু ভাষায় আল-আকসার ওই এলাকাকে টেম্পল মাউন্ট বলা হয়।
বিচারক বলেন, ইহুদিদের সেখানে প্রার্থনা করার স্বাধীনতা শর্তহীন নয়। আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষার মতো অন্যান্য স্বার্থকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
এদিকে বিবাদীদের আইনজীবী নাতি রোম রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটা বিস্ময়কর ও দুঃখজনক যে একবিংশ শতাব্দীতে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক দেশে ইহুদিদের মৌলিক মানবাধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
আল-আকসা চত্বরে ইহুদিদের যাতায়াত বাড়ায় ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। বিশেষ করে মুসলিমদের রমজান মাসের মধ্যে এ বছর ইহুদিদের পাসওভার উৎসব পড়ায় এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে থাকা জর্ডান আল-আকসার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে আসছে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে দেশটিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।