কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে জয়ী হয়ে লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। কিন্তু কীভাবে এবং কোন কৌশলে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি?
বেক্সিটের সমর্থক কনজারভেটিভ পার্টির ডানপন্থীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে লিজ ট্রাসের। সাবেক লিবারেল ডেমোক্র্যাট কর্মী লিজ ট্রাস আশির দশকে মার্গারেট থ্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও এখন নিজেকে থ্যাচারপন্থী শিখার রক্ষক বলে দাবি করেন।
মেরি এলিজাবেথ ট্রাস যে একটি রাজনৈতিক যাত্রায় রয়েছেন তা বলাই যায়। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে তার পূর্বসূরির মতো ঘরোয়া নাম নাও পেতে পারেন ট্রাস। এমনকি বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে টরি এমপিদের প্রথম পছন্দও ছিলেন না তিনি।
কিন্তু তার কর হ্রাস ও রাষ্ট্রকে সঙ্কুচিত করার মতো মৌলিক রক্ষণশীল মূল্যবোধে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি সঠিক প্রমাণিত হয়েছে এবং দলের সদস্য যারা জনসনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন তারাও ট্রাসের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন।
নেতৃত্ব নিয়ে তিক্ততা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত জনসনের অনুগত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তৃণমূলের টরি সমর্থকরা মার্গারেট থ্যাচারের মতো লিজ ট্রাসের মাঝে অটল, অনমনীয় এবং দৃঢ় সংকল্পের গুণাবলী দেখেন। বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক অবস্থান এবং আনুগত্য বদলানো সত্ত্বেও এসব শব্দ প্রায়ই শোনা যায় যখন বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা তাকে ‘উচ্চাভিলাষী’ চরিত্রের অধিকারী বলে বর্ণনা করেন।
বয়স: ৪৭ বছর
জন্মস্থান: অক্সফোর্ড
বাড়ি: লন্ডন ও নরফোক
শিক্ষা: লিডসের রাউন্ডহে স্কুল ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবার: হিসাবরক্ষক হাগ ও লিরিকে বিয়ে করেছেন ট্রাস। তাদের সংসারে রয়েছে দুই মেয়ে।
সংসদীয় এলাকা: সাউথ ওয়েস্ট নরফোক