যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পারমাণবিক চুক্তি ইরানের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে তীব্র মতবিরোধের মধ্যেই তিনি এই মন্তব্য করেন।

২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক চুক্তি বাতিলের পর নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান পাঁচ দফা আলোচনা করেছে। এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সমঝোতা হয়নি।

 

শনিবার ইরান জানায়, ওমানের মধ্যস্থতায় তারা মার্কিন প্রস্তাবের কিছু উপাদান পেয়েছে। তবে তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেন, মার্কিন প্রস্তাব শতভাগ ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আদর্শের পরিপন্থি।

 

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুটি চুক্তির সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হয়ে উঠেছে।

ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তার প্রশাসন কোনো ধরনের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি দেবে না। তবে তেহরান জোর দিয়ে বলেছে, এটি তাদের অধিকার।

খামেনি বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ‘মূল চাবিকাঠি’। এ নিয়ে আমেরিকার কিছু বলার অধিকার নেই।

 

তিনি আরও বলেন, আমাদের যদি ১০০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও থাকে, কিন্তু জ্বালানি উৎপাদনের সক্ষমতা না থাকে। তাহলে সেগুলোর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নিজেরা এই জ্বালানি তৈরি করতে না পারি, তাহলে বাধ্য হয়ে আমেরিকার কাছে যেতে হবে। যেখানে তারা ডজনখানেক শর্ত আরোপ করতে পারে।

সূত্র: এএফপি