ইউক্রেনজুড়ে রাতভর রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনের দাঁড়িয়েছে। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। ইউক্রেনের স্থানীয় কর্মকর্তা ও জরুরি সেবা বিভাগের বরাত দিয়ে খবর বিবিসির। 

এর মধ্যে কিয়েভের পশ্চিমের শহর ঝিটোমিরে তিন শিশু নিহত হয়েছে, সেইসঙ্গে দক্ষিণের শহর মাইকোলাইভে ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় জরুরি সেবা বিভাগ।

এই হামলাটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের আক্রমণের একদিন পরই ঘটল।

 

শনিবারের হামলায় ইউক্রেনজুড়ে ১৩ জন নিহত হয়, যখন যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক আলোচনা চললেও রাশিয়া যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেয়নি। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, শনিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিট থেকে তারা ৪৫টি ক্রুজ মিসাইল ভূপাতিত করেছে এবং ২৬৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।

তারা বলেছে, ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল এই রাতভর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিমানবাহিনী বলেছে, হামলায় ২২টি স্থানে আঘাত লাগে এবং ১৫টি এলাকায় ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত হয়। কিয়েভ অঞ্চলে চারজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন শিশু। অনেক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

 
 

এদিকে তুরস্কে আলোচনার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন বন্দি বিনিময় করেছে।

শুক্রবার দুই দেশ ৩৯০ জন করে মুক্তি দেয় এবং শনিবার আরও ৩০৭ ইউক্রেনীয় বন্দি ফিরে আসে। মোট এক হাজার জন বিনিময়ের চুক্তি হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার ইঙ্গিত দিলেও রাশিয়া এখনও ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়নি।