ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শনিবার (২৪ মে) রাজধানী দিল্লিতে দেশটির নীতি আয়োগের বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা থাকলেও অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

এই বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী উপস্থিত থাকেন। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন দাবির কথা সরাসরি বলার সুযোগ থাকে।

 

এর আগেও গত বছরের ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের মাঝপথে বেড়িয়ে আসেন মমতা ব্যানার্জী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করেন, তার বক্তব্যের মাঝে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে কারনেই তিনি বৈঠক ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসেন।

নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ না দেওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে নীতি আয়োগের বৈঠকে সকলের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সেখানে মাইক বন্ধ করে দিয়ে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। কেন যাবেন সেখানে? আর বাংলার কথা কোথায় বলবেন? অপমানিত হতে? বাংলার বঞ্চনার কথা মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছেন। সেখানে গায়ের জোরে মাইক বন্ধ করে কেন্দ্র কি বোঝাতে চাইছে? এর থেকে খারাপ ঘটনা এর আগে হয়নি। ভবিষ্যতে হবে কি না জানি না।

 

বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা ব্যানার্জীর এই সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক অভিমান’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠক রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মমতা ব্যানার্জীর এই বয়কটের ফলে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ দেখছেন। রাজ্যের উন্নয়নের কথা ভাবছেন না।

জানা গেছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। এই লক্ষ্যে কোন পথে এগোনো যাবে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করেন। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের অপারেশন সিঁদুর নিয়েও সবকিছু বিবরণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এছাড়া চলতি অর্থবছর এবং আগামী ২০২৬ সালের গৃহীত বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভারতের অর্থনীতির সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো ছিল এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে মার্কিন প্রশাসনের আলোচিত পাল্টা শুল্কের কারণে ভারতের অর্থনীতি কিছুটা চাপে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।